সাইয়িদের জনসভায় আ’লীগ নেতা তোফাজ্জলের মৃত্যু!

রাজশাহী, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, পাবনা, বার্তা২৪ | 2023-08-23 18:29:08

পাবনা-১ (সাঁথিয়া-বেড়ার আংশিক) আসনে ধানের শীষ প্রতীকের ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদের নির্বাচনী জনসভায় টুকু-সাইয়িদ সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে গত শুক্রবার বিকেলে। এ সময় ঘটনাস্থলে গৌড়িগ্রাম মাদরাসা মাঠে তোফাজ্জল হোসেন (৫০) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে। দু’গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় তিনি হার্টঅ্যাটাকে মারা গেছেন, নাকি অধ্যাপক আবু সাইয়িদের গাড়ীর ধাক্কায় তার প্রাণ গেছে এ নিয়ে ঘটনাটি এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যে পরিণত হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, জেলার সাঁথিয়া উপজেলার গৌড়িগ্রাম মাদ্রাসা মাঠে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় সেখানে অবস্থানকালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উক্ত মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেনের মৃত্যু হয়।

সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদের নির্বাচনী জনসভা শুক্রবার বিকেলে গৌড়িগ্রাম মাদ্রাসা মাঠে হওয়ার কথা ছিল। বিকেল ৪টার দিকে আবু সাইয়িদ জনসভাস্থলে আসার আগেই স্থানীয় দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনার এক পর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। কিছুক্ষণ পর আবু সাইয়িদ জনসভাস্থলে গেলে বিবদমান দু’টি পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

একপর্যায়ে আবু সাইয়িদ সভা না করেই সেখান থেকে চলে যান। এসময় ঘটনাস্থলে থাকা তোফাজ্জল হোসনে নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু হয়।

এ ব্যাপারে ধানের শীষের ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ সাংবাদিকদের বলেন, গৌড়িগ্রাম মাদ্রাসা মাঠে আমার নির্বাচনী জনসভা ছিল। আমি সেখানে পৌঁছানোর পরপরই সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা আমার গাড়ী লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি বোমা নিক্ষেপ করে। এ সময় বোমা নিক্ষেপকারীদের একজন হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। অথচ আমার প্রতিপক্ষের লোকজন এ নিয়ে মিথ্যাচার করছেন। তারা অভিযোগ তুলেছেন আমার গাড়ীর সঙ্গে ধাক্কা লেগে তিনি মারা গেছেন। এটা রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের অপকৌশলমাত্র।

থানার ওসি জাহাঙ্গীর বলেন, পুলিশের উপস্থিতিতে কেউ গাড়ী ভাঙচুর বা হামলা করবে এমনটি হতে পারে না। কেউ যদি অভিযোগ করে, তাহলে সেটি তার মনগড়া, বানানো। এ ধরণের কোন ঘটনা সেখানে ঘটেনি বলে দাবী করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

আর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি হাসান আলী খান বলেন, নৌকার গণজোয়ার দেখে আবু সাইয়িদ দিশেহারা হয়েই একের পর এক মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে নিজেকে পরিশুদ্ধ করার পাঁয়তারা করছেন।

তিনি বলেন, নৌকা স্বাধীনতার প্রতীক। কোন সচেতন মানুষ কখনো নৌকা ছেড়ে যুদ্ধাপরাধী সমর্থনকারীদের প্রতীকে ভোট দেবে না।

 

এ সম্পর্কিত আরও খবর