সোমবার দেশে ফিরবেন এরশাদ

ঢাকা, জাতীয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-24 22:34:34

সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১০টায় ঢাকায় ফিরবেন। সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তার ফেরার কথা নিশ্চিত করেছেন জাতীয় পার্টির একটি সুত্র।

১০ ডিসেম্বর রাত পৌনে ১১টায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স যোগে ঢাকা ছাড়েন সাবেক এই রাষ্ট্রপতি। প্রথমে ২২ ডিসেম্বর ফেরার কথা থাকলেও নতুন করে ২৪ ডিসেম্বর রাতে ফেরার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

এরশাদের সিঙ্গাপুর সফর ও তার দেশে ফেরা নিয়েও রাজনীতিতে নানা কথা প্রচলিত রয়েছে। অনেকে এটাকে রহস্যজনক মন্তব্য করতেন। কাউকে কাউকে বলতে শোনা গেছে, এরশাদ আর নির্বাচনের আগে দেশে ফিরছেন না। কিন্তু সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সোমবার দেশে ফিরছেন এরশাদ।

জানা গেছে, রক্তে হিমোগ্লোবিন ঘাটতিজনিত ও লিভারের সমস্যায় ভুগছেন এরশাদ। রক্তের এ জটিলতা অনেকদিন ধরে চললেও সম্প্রতি জটিলতা অনেকটা বেড়েছে। গত ২০ নভেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাশীদের গণসাক্ষাতকার অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে এসেছিলেন এরশাদ। এরপর বাসা ও সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে আসা-যাওয়ার মধ্যেই ছিলেন তিনি। কিন্তু নেতাকর্মীদের সামনে আসেননি। সর্বশেষ ৬ ডিসেম্বর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার পথে বনানী অফিসের সামনে কয়েক মিনিটের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। গাড়িতে বসেই মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলে দ্রুত বাসায় চলে যান।

এদিকে এরশাদের অবর্তমানে জাতীয় পার্টির নির্বাচনের বেহাল অবস্থা। মহাজোটগতভাবে পাওয়া ২৬ আসনের মধ্যে তিন আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। আবার উন্মুক্ত ১৪৬ আসনের অনেক প্রার্থীকে নির্বাচনে নানা রকম বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে ঠিক করণীয় কি তাও বুঝতে পারছেন না জাপার প্রার্থীরা।

লক্ষীপুর-২ আসনটি মহাজোট থেকে ছাড়া হয় জাতীয় পার্টির জন্য। এ আসনে প্রার্থী হন বর্তমান এমপি মোহাম্মদ নোমান। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতা বিদ্রোহী হিসেবে মাঠে রয়ে গেছেন। তার পক্ষেই মাঠে নেমেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এ কারণে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন জাপার এই প্রার্থী।

একই রকম জটিলতায় ভুগছেন সিলেট-২ ও নারায়নগঞ্জ-৩ আসনের দুই প্রার্থী। এ আসন দু’টি মহাজোট থেকে জাপার জন্য ছাড়া হলেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী স্বতন্ত্র হিসেবে মাঠে রয়ে গেছেন। তাদের পেছনেই খাটছেন আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না আওয়ামী লীগ। যে কারণে এই দুই আসনের জাপার প্রার্থীরা অনেকটা ক্ষুব্ধ। কিন্তু কার কাছে যাবে, কে প্রতিকার নেবে তার কোনো দিক-নির্দেশনা পাচ্ছেন না তারা।
আবার খোদ এরশাদের দুই নির্বাচনী এলাকাতেও চলছে ঢিমেতালে প্রচারণা।

রংপুর-৩ আসনে এখন আওয়ামী লীগের লোকজনকে সেভাবে মাঠে দেখা যাচ্ছে না। আওয়ামী লীগের নেতারা অভিযোগ করেছে, তাদেরকে বলাই হয়নি নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে অংশ নেওয়ার জন্য।

এ সম্পর্কিত আরও খবর