রাজধানীর মতিঝিলের সিটি সেন্টার থেকে এক ব্যবসায়ীসহ তিনজনকে আটক করেছে র্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রভাবিত করার লক্ষ্যে আনা নগদ ৮ কোটি টাকা ও ১০ কোটি টাকার চেক জব্দ করে র্যাব।
‘এই টাকাগুলো একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষে ভোট কেনার জন্য' দুবাই থেকে বাংলাদেশের পাঠানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ।
র্যাবের এ অভিযানে আমদানি-রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড করপোরেশনের এমডি আলী হায়দার, গুলশানের আমেনা এন্টারপ্রাইজের জিএম (এডমিন) জয়নাল আবেদিন ও অফিস সহকারি আলমগীর হোসেনকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) র্যাবের অভিযান শেষে মতিঝিলের সিটি সেন্টারের ২৭ তলায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বেনজীর আহমেদ বলেন, অফিসটিতে প্রতিদিন ১১-২০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এসব টাকার অধিকাংশ দুবাই থেকে হুন্ডি ও বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশে এসেছে। অফিসটিতে বিগত ২ মাসে ১৫০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় এই টাকা ছড়ানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের।
তিনি বলেন, ইউনাইটেড করপোরেশনের কথিত মালিকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে গত এক মাসে ৭৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এ ছাড়া তিনি গত দুই মাসে এক কোটি টাকা বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, অফিসটিতে আমরা একটি আসনের সব ভোটারদের নাম, ফোন নম্বর ও ঠিকানা সম্বলিত একটি তালিকা পেয়েছি। প্রাথমিভাবে ধারণা করছি, তাদের ভোট কেনার জন্য টাকাগুলো রাখা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের কথা উল্লেখ করে র্যাব ডিজি বলেন, নির্বাচনকে প্রভাবিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করা এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর কারণ এই টাকাগুলো এখান থেকে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এখানে আমরা একজন মনোনয়নপ্রাপ্ত ব্যক্তির কাগজপত্র দেখতে পেয়েছি। যাকে তিন কোটি ৬০ লাখ টাকা পাঠানো হয়েছে। তিনি শরীয়তপুর-৩ আসনের মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থী নুরু উদ্দিন অপু। তার এলাকায় টাকা যাওয়ার পর এই নির্বাচনী সহিংসতা হয়েছে।
দেশের যেসব স্থানে এই টাকাগুলো গিয়েছে সেখানেই নির্বাচনী সহিংসতা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে একজন হাওয়া ভবনে কাজ করত বলেও জানান তিনি।