রাজধানীর মিরপুর ১৩ নম্বরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দূর্বৃত্তরা। শনিবার (১১ নভেম্বর) রাত ১১টা ৩৮ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম।
তিনি বলেন, রাজধানীর মিরপুর কাফরুল থানার বিপরীতে মিরপুর ১৩ নম্বরে প্রজাপতি পরিবহন গাড়িতে আগুন দিয়েছে দূর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের
মিরপুর ফায়ার স্টেশনের দুইটি ইউনিট কাজ করছে।
এদিকে, শনিবার দিবাগত রাত ১২টায় শুরু হবে বিএনপির ডাকা চতুর্থবারের অবরোধ। কিন্তু, তার আগেই শনিবার (১১ নভেম্বর) রাত ৮টা থেকে একের পর এক যাত্রীবাহী বাসে আগুনের ঘটনা ঘটেছে।
ফায়ার সার্ভিস ও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের তথ্য মতে রাত ৮টা ২০ থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত ৬ টি বাসে আগুন দিয়েছে দূর্বৃত্তরা। এর মধ্যে ৪টি বাসের আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে ফায়ার সার্ভিসের ২ টি করে ইউনিট কাজ করেছে। বাকি দুটি বাসের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে স্থানীয়রা। এছাড়াও রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় দুটি ককটেল বিস্ফোরণও ঘটানো হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাত পৌনে ৮টার দিকে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ওই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি এবং জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
ওই ঘটনার ৩০ মিনিট পার হতে না হতেই রাত ৮টা ২০ মিনিটে রাজধানীর মতিঝিলে নটরডেম কলেজের সামনে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয় দূর্বৃত্তরা। এর ১০ মিনিট পর রাত সাড়ে ৮টায় গাবতলী পুলিশ ফাঁড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা গাবতলি লিংক পরিবহনের একটি বাসে পেট্রোল বোমা মেরে আগুন দেওয়া হয়। রাত ৯টায় গুলিস্তানের সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটের সামনে সময় পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।
এর ২৭ মিনিট পর যাত্রাবাড়ী এলাকায় ফলপট্টির সামনে অনাবিল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয় দূর্বৃত্তরা। প্রতিটি আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দুটি করে ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। তবে ওই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এছাড়াও রাত পৌনে ১১টা থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে রাজধানীর কাফরুল থানার আগারগাঁও তালতলা বাজারের সামনে শিখর পরিবহন ও রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানার জাতীয় পঙ্গু হাসপাতালের সামনে বৈশাখী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয় দূর্বৃত্তরা। তবে ফায়ার সার্ভিস আসার আগেই স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়।
ছয়টি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেলেও জড়িত কাউকে আটক করতে পারে নি পুলিশ।