ঝালকাঠিতে শীত উপেক্ষা করে বোরো আবাদে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে চাষিরা। তবে বীজ, সার এবং কীটনাশকের মূল্য বেশি হওয়ায় তাদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। এছাড়া চাষিদের অভিযোগ, কৃষি বিভাগ থেকে তাদের কোনো রকম সহযোগিতা করা হচ্ছে না।
জানা গেছে, ঝালকাঠি জেলায় চলতি মৌসুমে ৯ হাজার ৫৭৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর সাড়ে ৮ হাজার হেক্টক জমিতে বোরো আবাদ হয়েছিল।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ঝালকাঠিতে বছরের অন্য সময় জমিতে পানি থাকে। এ কারণে এসব জমিতে কোনো ধরনের চাষাবাদ করা যায় না। শুধুমাত্র চলতি মৌসুমে বোরো চাষ হয়ে থাকে।
এ বছর বাজারে বীজ, সার এবং কীটনাশকের মূল্য বেশি থাকায় চাষিদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। তবে ধানের দাম তুলনামূলক ভাবে বেশি থাকায় চাষিরা বোরো আবাদে আগ্রহী রয়েছে। শীত উপেক্ষা করে কাক ডাকা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বীজতলা থেকে চারা উত্তোলন, জমি তৈরি এবং রোপণ কাজে ব্যস্ত থাকে তারা।
নলছিটি উপজেলার ভৈরবপাশা গ্রামের চাষি কুদ্দুস হাওলাদার বলেন,‘ আমি এ বছর দুই একর জমিতে বোরো ধানের চাষ করব। ইতোমধ্যে জমি চাষাবাদ করা হয়েছে। দুই এক দিনের মধ্যে বীজ রোপণ করা হবে। তবে এবার বাজারে বীজ, সার এবং কীটনাশকের মূল্য বেশি। দাম বাড়ায় আমাদের খরচ বেড়েছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কোনো সহযোগিতা পাই নাই।’
তবে ঝালকাঠি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. ফজলুল হক জানান, চলতি মৌসুমে ঝালকাঠি জেলায় রেকর্ড পরিমাণ জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বোরো চাষে কৃষি বিভাগ চাষিদের পাশে থেকে সব রকমের সহযোগিতা করছে।