সিলেটে হঠাৎই গ্যাসের গন্ধ, আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট | 2023-11-20 17:55:00

সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বাতাসে গ্যাসের গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। এতে আতঙ্কিত নগরবাসী। তবে বাতাসে ছড়িয়ে পড়া গ্যাসের গন্ধে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিসন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (২০ নভেম্বর) বিকেল থেকে সিলেট নগরীর আখালিয়া, শিবগঞ্জ, মিরের ময়দান, সুবিদবাজার, হাউজিং স্টেট, নয়াসড়ক, কুমারপাড়া, মদিনা মার্কেট, রিকাবী বাজার, শেখঘাট, উপশহর, টিলাগড়সহ বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার বিকেল থেকে হঠাৎ করে আবাসিক বেশ কয়েকটি এলাকায় গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যায়। কেউ কেউ বলছেন কোথাও কোনো লিকেজ রয়েছে তার জন্য এমনটা হচ্ছে। রাস্তার পাশে যেখানে গ্যাসের সরবরাহ লাইন, রাইজার রয়েছে সেসব এলাকায় গ্যাসের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। এতে মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দেয়।

মদিনা মার্কেটের বাসিন্দা মুহিত জানান, সোমবার বিকেল থেকে বাসার সামনে গ্যাসের তীব্র ঝাঁজালো গন্ধ পাচ্ছি। কোথাও গ্যাস লাইন লিকেজ হয়েছে, এমন সন্দেহ থেকে বাসার আশপাশের গ্যাস সঞ্চালন লাইন পরীক্ষা করে দেখি, কিন্তু কোনো লিকেজ পাইনি। গ্যাস অফিসে কল দিয়েছি। তারা এসে অনুসন্ধান করবেন বলে জানিয়েছেন।

আখালিয়া এলাকার বাসিন্দা রেজা রুবেল জানান, বাসার বাইরে প্রচণ্ড পরিমাণ গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যায়। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, নগরীর অনেক জায়গা এ ধরণের গন্ধ বের হচ্ছে। এ নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। গ্যাস লিকেজ থেকে বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন অনেকেই।

জানা যায়, জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষ নগরীতে গ্যাসের সরবরাহ সঠিক রাখতে লিকেজ শনাক্ত করছে। সে জন্য এক প্রকার স্প্রে গ্যাসের ব্যবহার করা হয়েছে। যার গন্ধ পুরোপুরিই গ্যাসের মতোই। এই গ্যাসের কাজ হচ্ছে লাইনের যেসব স্থানে ছিদ্র রয়েছে সেই স্থানগুলো শনাক্ত করার জন্য।

এব্যাপারে জালালাবাদ গ্যাসের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সারোয়ার জাহান মাহমুদ বলেন, এটা একটা স্বাভাবিক বিষয়। এখানে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ গ্যাসের মধ্যে যে গন্ধ দেয়া হয়, সেটা নিরাপত্তার জন্যই দেয়া হয়। এতে লিকেজ হলে গন্ধ বের হয়।

তিনি আরও বলেন, সোমবার বিকেলের দিকে নগরীর বেশ কয়েকটি এলাকায় গ্যাস লাইন লিকেজ আছে কিনা সেটা জানার জন্য গ্যাসের মধ্যে গন্ধ দেয়া হয়। যাতে এই গ্যাসের গন্ধ মানুষ পায়, বিষয়টি জালালাবাদ কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারে। গন্ধের বিষয়ে জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষকে কেউ অবহিত করলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় গিয়ে অনুসন্ধান করে লিকেজ বন্ধ করা হচ্ছে। এছাড়া আমরাও যেখানে গন্ধ পাচ্ছি সেখানে লিকেজ শনাক্ত করছি। 

এ সম্পর্কিত আরও খবর