৫ বছরে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রীর নগদ টাকা কমলেও বেড়েছে জমি-বাড়ি

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর | 2023-12-07 20:20:02

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী আলহাজ্ব এডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক (এমপি)। মনোনয়ন দাখিলের পর রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দেয়া তার হলফনামা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বিগত পাঁচ বছরে তার জমিজমা ও বাড়িঘরের সংখ্যা বাড়লেও কমেছে নগদ, ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গচ্ছিত টাকার পরিমাণ। ২ বিঘা থেকে তার জমি এখন ৭৭ বিঘা হয়েছে। 
 
পাঁচ বছর আগে ২০১৮ সালে তার নির্বাচনী হলফনামায় উল্লেখ ছিল- কৃষি থেকে ১ লাখ ৮৬ হাজার, বাড়ি ভাড়া থেকে ৩৬ হাজার, পোল্ট্রি ফার্ম থেকে ১৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা, নিজ নামে শেয়ার সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত/ব্যাংক সুদ ২৬ হাজার টাকা, পারিতোষিক ও ভাতা থেকে আয় ২৩ লাখ ২৭ হাজার ৫৮০ টাকা। নিজ নামে নগদ ১৮ লাখ ৯৯ হাজার ৩১ টাকা। ব্যাংকে ১৭ লাখ ৭৭ হাজার ৭৩ টাকা। এছাড়াও স্ত্রীর নামে ছিল ৭ লাখ ৩৬ হাজার ৯০৪ টাকা। নিজের ও স্ত্রীর নামে ছিল ২২ তোলা স্বর্ণ অলংকার। নিজস্ব ব্যবহৃত তিনটি গাড়ির মধ্যে একটির মূল্য ছিল ৯২ লাখ ৫০ হাজার, দ্বিতীয়টি ৭৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও তৃতীয়টি মূল্য ৪২ লাখ টাকা।
 
স্ত্রীর নামে কৃষি জমি ৩৫ শতাংশ ও অকৃষি জমি ১৩ শতাংশ ছিল। নিজ নামে ৪৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ কৃষি, ৫১ দশমিক ১৫ শতাংশ অকৃষি জমি ছিল, ৯৬০ বর্গফুটের একটি আধাপাকা টিনসেড। নিজ নামে ৪০ লাখ টাকা মূল্যে ১ হাজার ৫৬৮ বর্গফুটের দোতলা দালান ছিল । মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রীর ২০১৮ সালে বার্ষিক আয় ছিল ৪৫ লাখ ৬৬ হাজার ২৮০ টাকা। ওই সময়ে অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ২ কোটি ৪৭ লাখ ২৬ হাজার ১০৪ টাকা। 
 
তবে ২০২৩ সালে তিনি হলফনামায় যা উল্লেখ করেছেন সেখানে রয়েছে- কৃষিখাতে আয় ১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত/ ব্যাংক সুদ বাবদ আয় ১৮ হাজার ৯৯৪ টাকা। মন্ত্রী হিসেবে সম্মানী ভাতা পান ২৩ লাখ ২৫ হাজার ৮৮৮ টাকা। নগদ অর্থ ১০ লাখ ৩৬ হাজার ১০০ টাকা। ব্যাংক জমা ১০ লাখ ৮৬ হাজার ৪৫০ টাকা। প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার রয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। স্বর্ণ রয়েছে সাত ভরি। দেড় লাখ টাকার আসবাবপত্র। ৬৯১ দশমিক ৮ শতাংশ কৃষি জমি, ১০১ দশমিক ৪৮ শতাংশ অকৃষি জমি, ১০ তলা অনুমোদনের দুই তলা সম্পন্ন আবাসিক ভবন যার মূল্য ১ কোটি ৪৩ লাখ ৩৮ হাজার ৯০০ টাকা।
 
২০২৩ সালে তার আয় ২৫ লাখ ৩৯ হাজার ৮৮২ টাকা। অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে এক কোটি ২২ হাজার ৫৫০ টাকা আর স্থাবর সম্পত্তির হিসাব দেখিয়েছেন দুই কোটি ৫ লাখ ৮৪ হাজার ২০০ টাকা। তবে বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশনে তার নামে আবাসিক ঋণ ৯৮ লাখ ৯৮ হাজার ৯২০ টাকা দেখিয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর