প্রচলিত বৈষম্যমূলক সামাজিক আচরণ, আইন-কানুন ও রাষ্ট্রীয় রীতি-নীতির কারণে নারী পুরুষের ওপর নির্ভরশীল। জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের মনোনয়নের পদ্ধতি নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের পরিপন্থি। রাজনৈতিক অঙ্গন কালো টাকা ও পেশিশক্তির নিয়ন্ত্রণে থাকায় নারী রাজনীতিতে অংশগ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) নারীপক্ষ আয়োজিত 'বাংলাদেশের নারী আন্দোলনের দাবীনামা'র প্রকাশনা অনুষ্ঠানে মূল নিবন্ধে এ সব কথা বলা হয়। অনুষ্ঠানে নারীমুক্তি, সমতা ও ন্যায্যতা আদায়ে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরা হয়।
আলোচনায় উবিনীগের (উন্নয়ন বিকল্পের নীতি নির্ধারনী গবেষণা) নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আক্তার বলেন, ‘আমাদের দেশে রাজনীতিতে নারীর অবস্থান খুব দুর্বল। এ ব্যাপারে নারীদের সক্রিয় অবস্থান জরুরি। নারীদের একটা বড় অংশ কৃষি কাজে নিয়োজিত৷ তাদের চাওয়া বোঝার ক্ষেত্রে আমাদের ঘাটতি আছে।’
নারীপক্ষের সদস্য শিরীন হক বলেন, ‘আমরা মৌলিক অধিকারগুলো পাচ্ছি কিনা সেটা আগে দেখতে হবে। আমাদের সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।’
রোকেয়া পদকজয়ী জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. হালিদা হানুম আক্তার বলেন, ‘নারী আন্দোলনের যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে। মানুষকে বোঝাতে হবে নারীদের কী দরকার। একটা মেয়েকে হাত পা বেঁধে বস্তাবন্দী করে পুকুরে ফেলে দিলে যে নির্যাতন, তাকে আঠারোর আগে বিয়ে দেওয়াও সে রকম নির্যাতন। সবাইকে এটা বুঝতে হবে।’
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নারীপক্ষের সদস্য মাহীন সুলতান। আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্য রীনা রায়, নির্বাহী পরিষদের সদস্য গীতা দাস প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপারে 'না' ভোটের সুযোগ রাখা, সরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচন, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট করা, রাজনীতিতে কালো টাকা, পেশীশক্তি নির্মূলের দাবি জানানো হয়।