চট্টগ্রাম-২ ফটিকছড়ি আসনে বেশিরভাগ ভোট কেন্দ্রে জাপাসহ বেশিরভাগ প্রার্থীর এজেন্ট পাওয়া যায়নি। এ আসনে ৮ জন প্রার্থী ভিন্ন প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
রোববার (৭ জানুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন কেন্দ্রে ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
দুপুর ১২ টার দিকে আসনটির বড় একটি কেন্দ্র ফটিকছড়ি সরকারি কলেজে গিয়ে সনির নৌকার, সাইফুদ্দিনের সুপ্রিম পার্টির একতারা, স্বতন্ত্র আবু তৈয়ব ও শাহজাহানের এজেন্ট দেখা গেলেও বাকি ৪ প্রার্থীর কোনো এজেন্ট দেখা যায় নি। এর মধ্যে জাতীয় পার্টি, ইসলামিক ফ্রন্ট, ইসলামী ফ্রন্ট ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কোনো এজেন্ট পাওয়া যায়নি।
এই কেন্দ্রে পুরুষের ৮ টি বুথে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৮১৫ টি ভোট পড়েছে, যার বিপরীতে ভোটার সংখ্যা ছিল ৩৮১৭। একই সময়ে ওই কেন্দ্রের মহিলাদের ৮টি বুথে ৫৩২টি ভোট পড়েছে, বিপরীতে ভোটার সংখ্যা ৩৩৯১।
এসব তথ্য জানিয়ে কেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা প্রনবেশ মহাজন ও রিজোয়ান কবির জানান, এখানে নৌকা সহ ৪ প্রার্থী এজেন্ট থাকলেও বাকিদের কোনো এজেন্ট কেন্দ্রে আসেনি।
এইভাবে পৌরসভার ধুরুং লায়ন্স স্কুল, ছিলোনিয়া, ফটিকছড়ি বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রেও ৪ প্রার্থীর কোনো এজেন্ট দেখা যায়নি।
এসবে জানতে প্রার্থীদের ফোন করা হলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রাম-২ আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার অভিযোগ আমরা পাইনি। আমি আমার টিম নিয়ে বিভিন্ন কেন্দ্রে পরিদর্শনে যাচ্ছি। পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও মাঠে আছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে আমরা বেশি নজর রাখছি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনটির ১৪২ টি ভোট কেন্দ্রের ৯৮২ টি ভোট কক্ষে ভোটগ্রহণ চলছে। দুটি পৌরসভা ও ১৮ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত উপজেলাটিতে মোট ভোটার ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৭ জন।