কুয়াশা ভেজা সকালে রাস্তার পাশে, বাড়ির সামনে বাগানে শোভা পাচ্ছে নানান রঙের ফুল। এর মধ্যে ফুলের রাণী গোলাপ বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করছে তার মোহনীয় সৌন্দর্যের মাধ্যমে। হিমেল হাওয়াতে দুলছে লাল, সাদা, গোলাপি রঙের ফুল। মুহূর্তে মন এবং চোখ শীতল করে হারিয়ে নিয়ে যায় ভাবনার জগতে। পরিবেশ ও প্রকৃতিতে নিজের সৌন্দর্য ছড়িয়ে দিয়েছে গোলাপ ফুল।
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলা সহ আশপাশের সবগুলো উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বাহারী ফুলে এখন সয়লাব। রাস্তায় বসছে ভাসমান ফুলের হাট। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিশেষ করে বিয়ের অনুষ্ঠানে গোলাপ ফুল লাগবেই। ফুল যেমন সৌন্দর্য তেমনি রয়েছে তার নানান উপকারিতা।
খোঁজ নিয়ে ও ফুল বিশেষজ্ঞদের থেকে জানা যায়, গোলাপের পাপড়িতে থাকে প্রায় ৯৫% পানি। ফলে এতে ক্যালোরির পরিমাণ থাকে খুবই কম। সেইসঙ্গে এই ফুলের পাপড়িতে থাকে ভিটামিন সি। বদহজমের সমস্যা হলে তা দূর করার জন্য গোলাপের পাপড়ি খাওয়ার প্রচলন রয়েছে চীনে। পিরিয়ডের সমস্যায় ভুগছেন যেসব নারী, তাদের ক্ষেত্রেও গোলাপের পাপড়ি উপকারী।
ত্বক ভালো রাখতে
রূপচর্চার কাজে গোলাপের ব্যবহার বেশ পুরোনো। মধু ও গোলাপজল মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বকের অনেক সমস্যার সমাধান হয়। গোলাপের তৈরি ফেসপ্যাক ত্বকের পুষ্টি যোগাতে কাজ করে। ত্বক উজ্জ্বল করার পাশাপাশি ত্বকের দাগছোপও দূর করে এটি। প্রতিদিন ব্যবহারে ত্বক আর্দ্র থাকবে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে হিমশিম খান অনেকে। কী করলে উপকার মিলবে তা বুঝে উঠতে পারেন না। আপনিও এমন সমস্যায় ভুগলে আস্থা রাখতে পারেন গোলাপ ফুলে। প্রতিদিন একটি তাজা গোলাপ ছিঁড়ে এনে খেয়ে নিন। এতেই কাজ অনেকটা সহজ হয়ে যাবে। ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে। অন্যদিকে রান্নায় শাহী স্বাদ যোগ করতে চাইলে রোজ ওয়াটার মেশাতে পারেন।
স্ট্রেস থেকে মুক্তি পেতে
গোলাপের সৌরভ মন ভালো করবেই। আয়ুর্বেদদের মতে এই সুগন্ধ কাজ করে অ্যারোমা থেরাপি হিসেবে। গোলাপ ফুল খেলে তা আপনাকে ভেতর থেকে সতেজ করে তুলবে। আবার আপনি যদি স্ট্রেস বা মানসিক চাপ অনুভব করেন তবে গোলাপের গন্ধ আপনাকে অনেকটাই হালকা করবে। অন্যকে গোলাপ উপহার দেওয়ার পাশাপাশি নিজের ঘরেও রাখুন। এতে সুফল পাবেন।
পেট ঠাণ্ডা রাখতে
আমাদের শরীরে গরমের সময়ে তাপ উৎপন্ন হয়। শরীর থেকে সেই তাপ দূর করতে কাজ করে গোলাপের পাপড়ি ও চিনি দিয়ে তৈরি গুলকন্দ। আলস্য, ক্লান্তি, পেট ব্যথা, মুখে ঘা, পেটে ব্যথা, মাথা ব্যথা, নাক থেকে রক্তক্ষরণ, চোখ ফোলা, রোদে পোড়া এসব সমস্যা থেকেও সহজে মুক্তি দিতে সাহায্য করে এটি। প্রতিদিন দুধের সঙ্গে গুলকন্দ গুলিয়ে খেলে মিলবে উপকার।