‘বইমেলায় নাশকতা মোকাবিলায় প্রস্তুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী’

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-01-22 18:35:59

অমর একুশে বইমেলা ঘিরে যেকোন ধরনের নাশকতা মোকাবিলায় সব ধরনের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। সেই সঙ্গে মেলাপ্রাঙ্গন ড্রোনের মাধ্যমে মনিটরিং করাসহ সোয়াট ও বোম্ব ডিসপোজাল টিম স্ট্যান্ডবাই থাকবে বলেও জানান তিনি।

সোমবার (২২জানুয়ারি) সকালে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে আসন্ন বইমেলা উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, প্রতি বছরই অমর একুশে বইমেলার আয়োজন করে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ। মাস জুড়ে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে চলবে এই বইমেলা। বইমেলাকে ঘিরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে কমিশনার বলেন, বই মেলাকে কেন্দ্র করে আমাদের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে জঙ্গিবাদ-মৌলবাদ, চুরি-ছিনতাই, অগ্নিকাণ্ড এবং সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা। নতুন আরেকটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মেট্রোরেল। কারণ আমরা দেখেছি নাশকতাকারীরা মেট্রোরেলেও নাশকতা করার চেষ্টা করেছে।

তিনি বলেন, প্রত্যেক দর্শনার্থীকে আর্চওয়ে দিয়ে মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে হবে। বইমেলার ভিতরে ও বাইরে পর্যাপ্ত সংখ্যক সাদা পোশাকে ও ইউনিফর্মে পুলিশ ডিউটিতে নিয়োজিত থাকবে। সিসিটিভি দিয়ে মেলার ভিতরে ও চারপাশে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হবে। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা প্রদানে থাকবে ওয়াচ টাওয়ার, ফায়ার টেন্ডার। থাকবে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা। অনুষ্ঠানস্থল সমূহ সুইপিং করা, সাদা পোশাকে বিশেষ টিম মোতায়েন, বিলবোর্ড, ব্যানার ও মাইকিং করে দিকনির্দেশনা প্রদান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মনিটরিং, মেলাপ্রাঙ্গন ড্রোন দ্বারা মনিটরিং করা হবে এবং সোয়াট ও বোম্ব ডিসপোজাল টিম স্ট্যান্ডবাই থাকবে।

এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস্) বিপ্লব কুমার সরকার প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বইমেলার সার্বিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। পরে অমর একুশে বইমেলার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমন্বয় সভায় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি, গণপূর্ত অধিদপ্তর, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা ওয়াসা, বাংলা একাডেমি, ফায়ার সার্ভিস, ডিপিডিসি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ এবং ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মতামত প্রদান করেন।

এছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এম মাকসুদুর রহমান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) ড. খঃ মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মো. মিজানুর রহমান, বাংলা একাডেমির পরিচালন (প্রশাসন, মানব সম্পদ উন্নয়ন ও পরিকল্পনা) কে এম মুজাহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক সমিতির সভাপতি মো. আরিফ হোসেন ছোটন ও সহ-সভাপতি শ্যামল পাল; গোয়েন্দা সংস্থা ও ফায়ার সার্ভিসসহ সরকারের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরাসহ ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনাররা, উপ-পুলিশ কমিশনার ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

 

এ সম্পর্কিত আরও খবর