রাজধানীর বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
রোববার (৬ জানুয়ারি) কবরস্থানে সমাহিত করার আগে আওয়ামী লীগের ত্যাগী এ নেতাকে তার সাবেক সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীসহ সর্বস্তরের মানুষ শেষ শ্রদ্ধা জানান।
থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) রাতে মারা যান জনপ্রশাসন মন্ত্রণায়ের সাবেক এই মন্ত্রী। বিনয়ী, মৃদুভাষী আর বিচক্ষণ ৬৭ বছর বয়সী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সকলের কাছে পরিচিত ছিলেন ‘আশরাফ ভাই’ নামে। তাঁর বাবা সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বাবার দেখানো পথেই হেঁটেছেন রাজনীতির দীর্ঘসময়। অথচ এত সমৃদ্ধময় জীবনগল্পে আত্মঅহমিকার লেশমাত্র ছিল না তাঁর। সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা আর হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হন তিনি।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। গার্ড অব অনারের মাধ্যমে সম্মান জানানো হয় এই মুক্তিযোদ্ধাকে। জানাজা শেষে সেখান থেকে জন্মস্থান কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগা ময়দানে আর ছাত্রজীবন ও শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত শহর ময়মনসিংহে তার তৃতীয় জানাজা সম্পন্ন হয়। সেসব স্থানে তার জানাজার নামাজে সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন।
এদিকে সৈয়দ আশরাফ ইসলামের কুলখানি মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) বাদ আছরের ২১ বেইলি রোডের বাসায় অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন তাঁর ছোট ভাই সৈয়দ আশফাক টিটু। কুলখানিতে শুভাকাঙ্ক্ষীসহ সবাইকে উপস্থিত থাকার অনুরোধও জানানো হয়েছে পরিবারের পক্ষ থেকে।