ময়মনসিংহ বিভাগে সমাজ উন্নয়নে অসমান্য অবদান রাখায় শ্রেষ্ঠ জয়িতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন অধ্যক্ষ শামীমা আক্তার সুমি।
‘শেখ হাসিনার বারতা, নারী-পুরুষ সমতা’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শিশু ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্যোগে ‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’ শীর্ষক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ময়মনসিংহ বিভাগের শ্রেষ্ঠ ৫ জন জয়িতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) ময়মনসিংহ এডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিমে শ্রেষ্ঠ ৫ জয়িতাদের ক্রেস্ট ও সম্মাননা সনদ তুলে দেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক।
অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়ার সভাপতিত্বে শিশু ও মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কেয়া খান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি মো. শাহ আবিদ হোসেন, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. এহতেশামুল আলম ও ময়মনসিংহ মহিলা ও শিশুবিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক নাজনীন সুলতানা বক্তৃতা করেন।
শামীমা আক্তার সুমি আনোয়ারা করিম সমাজকল্যান সংস্থার মাধ্যমে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন অসহায় মানুষদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তার সংগঠনে ৬০টির মতো অসহায় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পরিবার রয়েছে, যাদেরকে প্রতি মাসে মাসিক ভাতার পাশাপাশি বিভিন্নরকম সেবা দিয়ে যাচ্ছেন সংগঠনের পক্ষ থেকে।
ডিভিশনাল ব্লাড সোসাইটি নামে রক্তের সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি। এ সংগঠনের ২০০ জন সদস্য বিনামূল্যে নিয়মিত রক্ত দিয়ে যাচ্ছেন।
এছাড়াও তিনি ময়মনসিংহে করোনাকালীন সময়ে করোনায় আক্রান্ত মৃত নারীদের মরদেহ গোসল করিয়েছেন। এছাড়াও নিয়মিত অসহায় রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করে যাচ্ছেন।
এ সকল নানান সামাজিক সেবামূলক কর্মকান্ডের জন্য মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে শামীমা আক্তার সুমি'কে "সমাজ উন্নয়নে অসমান্য অবদান রেখেছেন যে নারী" ক্যাটাগরিতে "শ্রেষ্ঠ জয়িতা" নির্বাচিত করেছেন।
শামীমা আক্তার (সুমি) ময়মনসিংহের ঘাগড়া বাড়েরা কলেজের অধ্যক্ষ। তিনি শিক্ষকতা, সমাজ সেবার পাশাপাশি কবিতা, উপন্যাস, গল্প লিখেন। ব্যক্তিগত জীবনে শিক্ষক স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে বেশ সুখেই দিন কাটছে।
শ্রেষ্ঠ জয়িতা শামীমা আক্তার সুমি বার্তা২৪.কমকে বলেন, এসব কাজ করি অসহায় মানুষের কল্যানের জন্য। কোন কিছু পাওয়ার আশায় না। তবে এ ধরনের প্রাপ্তি কাজের গতি বাড়াতে সাহায্য করে। আমি অনেক আনন্দিত আমার এই প্রাপ্তিতে।