ধুলাময় মহাসড়ক, সমাধানে নেই কোনো উদ্যোগ

জেলা, জাতীয়

অলোক সাহা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, ঝালকাঠি, বার্তা২৪.কম | 2023-08-24 01:28:44

ঝালকাঠি-রাজাপুর আঞ্চলিক মহাসড়কটি ধুলাবালিতে একাকার। এ কারণে প্রায় ২০ কিলোমিটার এই সড়ক দিয়ে চলাচল করা যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে চমর দুর্ভোগ। এতে করে এই রুটের নিয়মিত যাত্রীরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে বিষয়টি সমাধানে নেয়া হচ্ছে না কোনো উদ্যোগ। যেন দেখার কেউ নেই।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে এই সড়কের সংস্কার কাজ ফেলে রাখায় দুর্ভোগের মাত্রা বেড়েছে কয়েকগুণ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সড়ক ও জনপদ বিভাগে আড়াইশ কোটি টাকার ২টি মেঘা প্রকল্প আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠির কালিজিরা থেকে ভান্ডারিয়া পর্যন্ত ৩৮ কি.মি. সড়ক ১৮ ফুট থেকে ২৪ ফুট চওড়া করে নির্মাণ ও রাজাপুর-কাঁঠালিয়া ও আমুয়া পর্যন্ত মহাসড়কের ৩১ কি. মি. ২৪ ফুট সড়ক প্রশস্তকরণের কর্মকাণ্ডে ঠিকাদারের নানা অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও স্বেচ্ছাচারিতায় অতিষ্ঠ স্থানীয়রা। এর মধ্যে এই ২০ কিলোমিটার সড়কে ভোগান্তি বেশি হচ্ছে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খান বিল্ডার্স, ওরিয়েন ট্রেডার্স ও অহেদ কনস্ট্রাকশন ১২৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ও রানা বিল্ডার্সের পক্ষে ইসলাম ব্রাদার্স ১২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে।

প্রকল্পের ধুলা ব্যবস্থাপনার কথা মাথায় রাখেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে এই সকল প্রকল্পে ধুলা উড়তেই থাকছে। সড়কের চলমান উন্নয়নের মধ্যেই ঝাঁকুনি দিয়ে চলছে গাড়িগুলো, আর এতে উড়ছে ধুলা। ফলে সড়কের দোকানপাট, গাছ-গাছালিতে ধুলার আস্তর পড়ে আছে।

সড়ক বিভাগের তত্ত্বাবধানে প্রায় ১ বছর আগে এর উন্নয়ন কাজ শুরু হলেও এখনো দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি। এছাড়া ধীরগতির কাজ আর নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারে ধুলায় নাকাল সড়কটি ও চলাচলকারী মানুষগুলো।

এই রুটের নিয়মিত যাত্রী পলাশ হোসেন বলেন, ‘চাকরির সুবাদে এই সড়ক থেকে প্রতিদিন চলাচল করতে হয়। রাস্তায় ধুলার কারণে আমাদের চরম ভোগান্তি হচ্ছে।’

আবুল হাসান নামে এক বাস চালক বলেন, ‘ধুলার কারণে আমাদের অসুস্থ হওয়ার মতো অবস্থা। কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের দাবি দ্রুত এই সড়র সংস্কারের কাজ শেষ করা হোক।’

এ ব্যাপারে জানতে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খান বিল্ডার্সের প্রোপাইটর মাহফুজ খানের কাছে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অন্য ঠিকাদারদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শেখ নাবিল হোসাইন জানান, গত বছরের মার্চ মাসে ওই সড়কে কাজ শুরু হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত এই প্রকল্পের মেয়াদ রয়েছে। উন্নয়ন কাজের ফলে সৃষ্ট ধুলা নিয়ন্ত্রণে কোনো প্রযুক্তি নেই। তবে নিয়মিত ঠিকাদারদের পানি ছিটানোর কাজটি করার জন্য তাগিত দেয়া হয়ে থাকে। ওই সড়কে সংশ্লিষ্টরা পানি ছিটানোর কাজটি ঠিকমতো করছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর