২০১৮ সালে ১০১১ জন শিশু ধর্ষণের শিকার: আসক

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম | 2023-08-26 16:02:49

বিগত বছর জুড়ে দেশের মানবধিকার পরিস্থিতির জন্য নারী ও শিশু নির্যাতনকে সব থেকে বড় হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ২০১৮ সালে ১ হাজার ১১ জন শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।

বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে 'আইন ও সালিশ কেন্দ্র' (আসক) 'বাংলাদেশের মানবধিকার পরিস্থিতি-২০১৮ শীর্ষক' একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। আসকের এই এসব তথ্য উঠে আসে।

আসকের নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, বিগত বছর জুড়ে দেশের মানবধিকার পরিস্থিতির জন্য বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং নারী ও শিশু নির্যাতনকে সব থেকে বড় হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া গুম, রাজনৈতিক সহিংসতা, মতপ্রকাশের অধিকার, নারী অধিকার, ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতন, সাংবাদিক নির্যাতন, সীমান্ত নির্যাতন, শ্রমিক অধিকার, আদিবাসীদের অধিকার ও স্বাস্থ্যের অধিকারের অনিয়মও ঠাঁই পায়।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ২০১৮ সালে সারা বছর  বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে ৪৬৬ জন নিহত হয়েছে। তবে মে মাস থেকে শুরু হওয়া মাদক বিরোধী অভিযানের এসময় সবচে বেশি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড করা হয়েছে। অন্যদিকে বছরটিতে ৩৪ জন গুম হয়েছেন, রাজনৈতিক সহিংসতায় ৩৪ জন নিহত, ধর্ষণের শিকার ৭২৪ জন, সীমান্তে ১৪ জন বাংলাদেশি হত্যা, ১ হাজার ১১ জন শিশু ধর্ষণের শিকার ও সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার ২০৭ জন হয়েছেন।

এছাড়া ধর্ষণের পর ৬৩ জন নারী, ২৮৩ জন শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। তাছাড়া সংখ্যালঘুদের ৯৭ টি প্রতিমা ভাঙচুর এবং ২৯ টি বাড়িঘর অগ্নিসংযোগও করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আসকের নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা বলেন, বছরজুড়ে বেশ কিছু মানবাধিকার বিষয়ে ভালো কাজ হলেও-তা সন্তোষজনক নয়। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কারণে ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্থ হয়েছে। তাছাড়া শ্রমিকদের অধিকার, আদিবাসীদের অধিকারও মানবধিকার ব্যাপকভাবে লংঘন হয়েছে।

এসময় নারী ও শিশু প্রতি সকল ধরণের সহিংসতা বন্ধে এবং বাক স্বাধীনতা রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা গ্রহণের জন্য আসক সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর