চলছে অমর একুশে বইমেলা-২০২৪। সকাল থেকেই মেঘাচ্ছন্ন অবহাওয়া আর বৃষ্টির আশঙ্কা নিয়েই শুরু হয়েছে আজকের বইমেলা। ছুটির দিন হওয়ায় মেলা শুরু হয় শিশু প্রহরের মাধ্যমে। তবে মেঘাচ্ছন্ন অবহাওয়া আর বৃষ্টির আশঙ্কা থাকলেও অন্যান্য ছুটির দিনের মতোই পাঠকের ভিড় ও বই বিক্রি নিয়ে সন্তুষ্ট বিভিন্ন প্রকাশনীর স্টলের বিপণনকর্মীরা।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙগনে সরেজমিনে গিয়ে এ চিত্র দেখা যায়। ছুটির দিনে বৃষ্টিভেজা দিনেও শিশুরা বইমেলায় এসেছেন অভিভাবকদের সঙ্গে।
বাংলা একাডেমির বিশেষ আয়োজন 'শিশু প্রহরে' সকাল ১১টায় শিশু চত্বরের মঞ্চে যথারীতি উপস্থিত ছিল সিসিমপুরের আয়োজন। শিশুদের সাথে আনন্দের সময় কাটান তাদের প্রিয় চরিত্র হালুম, ইকরি, শিকু, টুকটুকিসহ অনেকেই। তারা নাচ আর গানের মাধ্যমে শিশুদের শেখান নানারকম শিক্ষামূলক বিষয়। শুক্রবার শিশুদেরকে তারা নিরাপদে সড়ক পারপার সম্পর্কে বিশেষভাবে শিক্ষা দান করেন। এদিকে শিশুরাও ছিল বরাবরের মতই আনন্দিত।
এদিকে সিসিমপুরের আয়োজন শেষে শিশু পাঠকরা ভিড় করেন শিশুদের স্টলগুলোতে। তবে রাতে বৃষ্টিতে কর্দমাক্ত শিশু চত্বরে ভোগান্তি হয়েছে অভিভাবক ও শিশুদের।
বইমেলায় ৪ বছরের ছেলে সিয়ামকে নিয়ে এসেছেন তার বাবা শামীমুল ইসলাম। তিনি বার্তা ২৪.কমকে বলেন, আজকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় বৃষ্টির আশঙ্কা নিয়েই বাচ্চাকে মেলায় নিয়ে এসেছি। শুক্রবার ছাড়া পরিবার নিয়ে বের হওয়ার সুযোগ মেলে না। বৃষ্টির চিন্তা করে পরিবার নিয়ে, বাচ্চাদের নিয়ে বের না হলে দেখা যাবে আর বের হওয়া হবে না।
উত্তরা থেকে দুই সন্তানকে নিয়ে বইমেলায় এসেছেন ব্যাংকার সজীবুর রহমান। তিনি বলেন, 'শুক্রবার ছাড়াতো বাচ্চাদেরকে সময় দিতে পারি না। বৃষ্টি হলেও মেলায় এসেছি তাদেরকে আনন্দ দিতে। মেলায় এর আগেও শিশুপ্রহরে এসেছি আমি। তাদেরকে বেশ কিছু বইও কিনে দিয়েছি। তবে আজকের মেলায় কাদা বেশি হওয়ায় অনেক কষ্ট হয়েছে বাচ্চাদের।
বৃষ্টি নিয়ে আশঙ্কা থাকলেও পাঠক ও ক্রেতার উপস্থিতি বেশি থাকায় খুশি বিপণনকর্মীরাও। সকাল থেকে মেলায় বিক্রি কম হলেও, বেলা বাড়ার সাথে সাথে ক্রেতার ভিড় বাড়ছে। তাই বেচা-বিক্রি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন তারা।
ময়ূরপঙ্খি স্টলের বিক্রয়কর্মী তারিন জানান, 'একটু চিন্তা ছিলো বৃষ্টি নিয়ে কারণ বইমেলা শেষ হয়ে আসছে। শেষ সময়ে বিক্রি বেশি হয়। একটা দিনও যদি নষ্ট হয় বই বিক্রিতে ক্ষতি হয়। তবে আজকের উপস্থিতি আশা অনুযায়ী অনেক বেশি হয়েছে। অন্যান্য দিনের শিশু প্রহরগুলোর মতই বই বিক্রিও বেশ ভালোই হচ্ছে।'
চিলড্রেন পাবলিকেশন্স এর মালিক নুরুল আলম ভূঁইয়া বলেন, ' শুক্রবার হওয়াতে বিক্রি মোটামুটি ভালোই। তবে এখনও কাদা পানি কোনো জায়গায় আছেই। আশা করি বিকেল হলে বিক্রি আরও বাড়বে। এবার আমাদের চার থেকে পাঁচটি নতুন বই আছে, বইগুলো ভালোই বিক্রি হচ্ছে।'