মাগুরার শালিখায় ভুয়া প্রতিষ্ঠান নামে এক প্রতারক চক্র মাগুরার শালিখা উপজেলার দেড় শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রাম্য চিকিৎসক বানানোর নামে টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েও হজম করতে পারেনি ওই প্রতারক চক্র।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে গ্রাম্য সহজ সরল মানুষ ফিরে পায় তাদের টাকা। ফলে ভেস্তে গেলো ভুয়া ডাক্তার বানানোর অপকৌশল।
জানা গেছে, শালিখা উপজেলার চটকাবাড়িয়া গ্রামের নিরাপদ বিশ্বাসের ছেলে মনিকুমার বিশ্বাস (৪৮) ও একই উপজেলার শালিখা গ্রামের লাল মিয়া শিকদারের ছেলে শাহিন শিকদার 'স্মার্ট ইজি হেলথ বাংলাদেশ' নামের এক ভুয়া প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে গ্রাম্য চিকিৎসক বানানোর নামে মাগুরার জেলার শালিখা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের প্রায় দেড় শতাধিক লোক থেকে ৫ লক্ষাধিক টাকা নেয়। প্রতারক চক্র সুকৌশলে গ্রাম্য সহজ সরল মানুষের নিকট থেকে চিকিৎসক বানানোর নামে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা নেয়। আবার কারো কারো নিকট থেকে তারও বেশি টাকা নেয় বলে অভিযোগ করে প্রতারণার শিকার কয়েকজন। প্রতারক চক্র শালিখা উপজেলা সদর আড়পাড়া বাজারের একটি অফিস ভাড়া নিয়ে একটা ব্যাগ, ন্যাপকিন ও কিছু জন্ম নিয়ন্ত্রণের বড়ি দিয়ে প্রশিক্ষণ শুরু করে। তারা নীলফামারী থেকে এক ব্যক্তিকে প্রশিক্ষক হিসেবে নিয়ে আসে। প্রতারক চক্রের এ কার্যাবলী শালিখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হরেকৃষ্ণ অধিকারীর দৃষ্টি গোচর হলে তিনি ২২ ফেব্রুয়ারি ওই প্রতিষ্ঠানের বৈধ কাগজপত্র দেখতে চান। এ সময় প্রতারক চক্র সমস্ত তাদের কাগজপত্র দিতে ব্যর্থ হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাদের সমস্ত কার্যক্রম স্থগিত করেন। এছাড়া মানুষের কাছ থেকে আদায়কৃত টাকা ফেরতের জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। অবশেষে প্রতারক চক্রের মূল হোতা মনি কুমার ও শাহিন তাদের নিজেদের চেক ইস্যু করে টাকা ফেরত দেওয়ার অঙ্গীকার করে মুচলেকায় সই করে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শুক্রবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে গ্রাম্য সহজ সরল মানুষ ফিরে পায় তাদের টাকা।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হরেকৃষ্ণ অধিকারী বলেন, আমার নৈতিক দায়িত্ব পালন করেছি। গ্রামের অসহায় খেটে খাওয়া মানুষের টাকা প্রতারক চক্র মেরে খেতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি তা করতে দিই নাই। আর ভবিষ্যতেও এমনটা হতে দেবো না।