নরসিংদীর মনোহরদীতে এক কিশোরীকে ধর্ষণ এবং এই ঘটনায় কিশোরীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার অভিযোগ উঠে এসেছে। অভিযুক্ত মোহাম্মদ আলী দুই সন্তানের পিতা। জানা যায়, জেলার মনোহরদী উপজেলার চালাকচর ইউনিয়নের চড়পাড়া গ্রামে। সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে ডিবি পুলিশ চাঁদাবাজির মামলা তদন্ত করতে গিয়ে বের হয়ে আসে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।
স্থানীয়রা জানায়, ১২ বছরের ওই কিশোরী মায়ের সঙ্গেই থাকে। সম্প্রতি কিশোরীকে বাড়িতে রেখে মা কাজে গেলে একই এলাকার মোহাম্মদ আলী ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠে। এরপর ভুক্তভোগীর মা বিচারের আশায় স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইদুল ইসলাম মিয়ার কাছে যান। তিনি বিষয়টি ফয়সালা করে দেওয়ার জন্য মোহাম্মদ আলীর কাছে টাকা দাবি করেন বলে অভিযোগ উঠে। পরে মোহাম্মদ আলী তার শাশুড়ি নিয়াশা বেগমকে (৬৫) বাদী করে আদালতে চাঁদাবাজির একটি মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে এসআই ফজলে মাসুদ জানান, মামলার অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানায়, বাদীর মেয়ের জামাই মোহাম্মদ আলী চড়পাড়ায় এক কিশোরীকে পরপর দুই দিন ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। কিশোরী জানায়, মোহাম্মদ আলী তার এ সর্বনাশ করেছে। তবে, মোহাম্মদ আলী পুরো বিষয়টি অস্বীকার করে। সে তার শাশুড়িকে দিয়ে কিশোরীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদাবাজির মামলা রুজু করে। অন্য আসামিরা হলো একই এলাকার ইব্রাহীম মিয়ার ছেলে শরীফ মিয়া ও হাছেন মিয়ার ছেলে মোশারফ মিয়া।
চালাকচর ইউপি চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম মুক্তা বলেন, বিষয়টি শুনে তিনি মেয়ে ও মেয়ের মাকে থানায় পাঠিয়েছিলেন। পরে থানা পুলিশ উল্টো তাদেরই দেন দরবার করে মীমাংসা করে দেওয়ার অনুরোধ জানান। এর বেশিকিছু তিনি জানেন না।
মনোহরদী থানার পরিদর্শক আবুল কাশেম ভূঞা জানান, এ বিষয়ে মেম্বার চেয়ারম্যানের সালিশ দরবার করার কোনো এখতিয়ার নেই। এমনকি থানায় এ ধরনের অভিযোগ নিয়ে কেউ আসেনি। যদি আসত তাহলে অবশ্যই মামলা নেয়া হত। এমন বিষয় চেয়ারম্যানকে মীমাংসা করে দেওয়ার কথা বলার প্রশ্নই আসে না। যদি এখনও তারা থানায় আসে তাহলে অবশ্যই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।