হাবিবুর রহমান (১৫)। বাড়ি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার রুদেশ্বর গ্রামে। বাবা শহিদার মিস্ত্রী অসুস্থ থাকার কারণে এই অল্প বয়সেই তাকে সংসারের হাল ধরতে হয়েছে।
প্রতিদিন সকাল হলেই ভ্যান ভর্তি বিভিন্ন গাছের চারা নিয়ে বেরিয়ে পড়ে হাবিবুর। এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে ফেরি করে ফুলের চারা বিক্রি করে। তার কাছে গোলাপ, গাঁদা, ডালিয়া, কচমচ, নয়নতারা, বকুল, রঙ্গন, স্টারসহ প্রায় ১০/২০ প্রকার ফুলের চারা পাওয়া যায়।
শুক্রবার (১১ জানুয়ারি) কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ফুটবল মাঠে ভ্যানে করে ফুলের চারা বিক্রি করতে দেখা গেছে হাবিবুরকে। সেখানে সে ভ্যানের পাশে দাঁড়িয়ে ক্রেতাদের ডাকছে- ‘আইসেন ভাই একটা ফুলের চারা নিয়ে যান। দাম মাত্র ৫টাকা। এতো কম দামে পাবেন না।’
জানা গেছে, হাবিবুরের বাবা খুবই অসুস্থ। তিনি কোনো উপার্জন করতে পারেন না। সংসারে আর কোনো উপার্জনের ব্যক্তি নেই। তাই ৪ সদস্যের সংসারের হাল ধরতে হয়েছে তাকে।
ফুলের চারা বিক্রেতা কিশোর হাবিবুর রহমান বার্তা২৪.কমকে জানায়, ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে সে। পরে অভাবের কারণে আর লেখাপড়া করতে পারেনি। এখন বাড়ির পাশেই জমি ভাড়া নিয়ে ফুল চাষ করছে। সেই চারাই ফেরি করে বিক্রি করছে।
হাবিবুর আরও জানান, সারাদিন ফুলের চারা বিক্রি করে ৪ সদস্যের সংসার চালাতে হয় তাকে।
হাবিবুরের দাবি, ফুলের চারা বিক্রিতে কেউ আর্থিক সহযোগিতা করলে সে একটা নার্সারি করবে। পাশাপাশি সবাইকে গাছ লাগাতে অনুপ্রেরণা যোগাবে।