মিয়ানমারের রাখাইনে সামরিক বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে চলমান সংঘাতে গুরুতর আহত হয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করা মোহাম্মদ হারেস উদ্দিন (১২) নামের এক রোহিঙ্গা কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১ মার্চ) রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। শনিবার সন্ধ্যায় উখিয়ার ১৫ নং জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তার দাফন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
নিহত মোহাম্মদ হারেস উদ্দিন রাখাইনের মংডু জেলার সোজার ডিয়া গ্রামের মোহাম্মদ হামিদ হোসেনের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৮ এপিবিএনের সহঅধিনায়ক মোহাম্মদ ফজলে রাব্বি।
তিনি জানান, উখিয়ার ১৫নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হারেসের মামা থাকেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় হারেস মারা গেলে হাসপাতাল পুলিশকে জানায়। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে তার মামা লাশ গ্রহণ করেন। সুরতহাল শেষে তাকে দাফন করা হয়েছে।
হারেসের মা-বাবা মিয়ানমারে আছেন উল্লেখ করে তিনি জানান, হারেস কিভাবে বাংলাদেশে এলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
১৫ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা জানান, ২৮ ফেব্রুয়ারি মর্টারশেলের আঘাতে গুরুতর আহত অবস্থায় হারেস তার এক স্বজনের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
তিনি বলেন, প্রথমে তাকে কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হলে শরীরের স্পর্শকাতর অংশসহ ৪/৫ জায়গায় মারাত্মক ক্ষত থাকায় তাকে সেখান থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি জানান।
পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি সদস্যরা তৎপর বলে জানিয়েছেন টেকনাফের বিজিবি ব্যাটালিয়ন-২ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ।