র্যাবের অধিনায়ক, ডিসি, এসপি এবং জেল সুপারসহ বিভিন্ন পেশার ভুয়া পরিচয় দিয়ে মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া চক্রের মূলহোতা তোরাব আলী ওরফে রেজাউল করিমসহ ৬ জনকে আটক করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দিবাগত রাতে কক্সবাজারের চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী থেকে র্যাব-১৫ এর সদস্যরা তাদের আটক করে। মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব-১৫ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন।
আটককৃতরা হলেন বাদশা, তারেকুর রহমান, মো. জোবায়ের, এমদাদ উল্লাহ মারুফ ও মিশকাত জান্নাত জুলি।
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, গত ২ থেকে ৩ মাস ধরে অভিযুক্ত প্রতারক তোরাব ও তার দলের সদস্যদের অনুসরণ করে আসছিল র্যাব। এই দলে ২০ জনের মত সদস্য রয়েছে। তারা কারাগার, আদালত ও থানায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকত। যাদের আত্মীয় স্বজনরা জেলে আছে, তাদের নম্বর নিয়ে জেল থেকে ছাড়িয়ে দেয়ার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত দাবি করত এই প্রতারক চক্র।
র্যাব আরেও জানিয়েছে, অভিযুক্ত প্রতারক তোরাব আলী কুতুবদিয়ায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করারও পরিকল্পনা করেছিলেন। এজন্য ১৫ থেকে ২০টি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হয়েছেন তিনি। এসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হওয়ার জন্য ১ কোটি টাকার মত অনুদানও দিয়েছে সে। এসব ঘটনা থেকে র্যাব ধারণা করছে, গত কয়েক বছরে প্রতারণার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ সে ও তার চক্রের সদস্যরা হাতিয়ে নিয়েছে। অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে এ পর্যন্ত প্রতারক তোরাব ১১টি বিয়ে করার কথাও র্যাবের কাছে স্বীকার করেছে। তাদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া অর্থ ও প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ১০টি মোবাইলও উদ্ধার করেছে র্যাব।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয় র্যাবের পক্ষ থেকে।