সুরক্ষার জন্য রাস্তার মধ্যখানে পিলার বসিয়ে দিয়েছিল সড়ক ও জনপদ বিভাগ। এর সুফলও পাচ্ছিল এলাকাবাসী। তবে হঠাৎ করে একপাশের পিলারগুলো তুলে নেয়া হয়েছে।
এলাকাবাসীর দাবি, অসাধু পাথর ব্যবসায়ীদের ভারী যানবাহনগুলো যাতে চলাচল করতে পারে মূলত সেই উদ্দেশে পিলারগুলো তুলে নেয়া হয়েছে। তবে এর সঙ্গে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের কতিপয় কর্মচারী জড়িত বলে অভিযোগ তাদের। ফলে সিলেট-তামাবিল সড়ক থেকে দরবস্ত টু কানাইঘাট রাস্তার দরবস্ত অংশটি ঝুঁকিতে পড়েছে।
দরবস্ত টু কানাইঘাট রাস্তার দরবস্ত অংশে এবং কানাইঘাট অংশে রাস্তার সুরক্ষায় ভারী যানবাহন ট্রাক যাতে চলাচল করতে না পারে সেজন্য পিলার বসানো হয়৷ রাস্তার মধ্যখান ও দুই পাশ দিয়ে যাতে ছোট যানবাহন চলাচল করতে পারে সেই সুযোগ রেখে পিলার স্থাপন করা হয়। এই নিয়মেই চলছিল যানবাহনগুলো।
এলাকাবাসীর দাবি, অতি সম্প্রতি জৈন্তাপুরের ‘শ্রীপুর পাথর কোয়ারিতে’ পাথর উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। এই সুযোগে দরবস্ত টু কানাইঘাট সড়ক দিয়ে লোভা ছড়ার পাথর জৈন্তাপুর উপজেলার শ্রীপুরের আসামপাড়া গুচ্ছগ্রামে নিয়ে আসছে এক শ্রেণির পাথরখেকো চক্র। প্রতিদিন শত শত ট্রাক ওই সড়ক দিয়ে চলাচল করছে।
এর আগে দরবস্ত স্কুলের সম্মুখ হতে একাংশের পিলার সরিয়ে নেয়া হয়৷ এলাকাবাসী অভিযোগ করে, পাথরখেকো চক্রকে সুবিধা দিতেই সওজের কতিপয় অসাধু কর্মচারীরা পিলার তুলে নিয়েছে।
অপরদিকে পাথরবাহী ট্রাক চলাচলের কারণে দরবস্ত টু কানাইঘাট কমিউনিটি হল পর্যন্ত রাস্তার বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। কোথাও রাস্তার পিচ উঠে যাচ্ছে৷
দরবস্ত এলাকার বাসিন্দা শহিদ আহমদ জানান, আর কিছুদিন এই রাস্তা দিয়ে এভাবে শত শত পাথরবাহী ট্রাক চলাচল করতে থাকলে কিছুদিনের মধ্যেই রাস্তার অবস্থা বেহাল আকার ধারণ করবে৷ তাই দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌরিন করিম জানান, বিষয়টি তার নজরে এসেছে। খোঁজ নিয়ে দেখছেন। রাস্তার সুরক্ষা ও জনগণের স্বার্থ রক্ষায় পদক্ষেপ নেবেন বলেও জানান তিনি।