চট্টগ্রামের বৃহত্তম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে আসন্ন রমজান উপলক্ষে নিয়মিত বাজার মনিটরিং এর অংশ হিসেবে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। এসময় চিনি ও এলাচের তিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
রোববার (১০ মার্চ) দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্তের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এসময় চট্টগ্রামের অন্যতম বড় পাইকারি চিনি বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান আর এম এন্টারপ্রাইজকে ৩০ হাজার টাকা এবং নাবিল গ্রুপকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি চট্টগ্রামে এলাচের সবচেয়ে বড় আমদানীকারক এ বি ট্রেডার্সকে অতিরিক্ত মূল্যে এলাচ বিক্রয়ের জন্য ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, কয়েকদিন আগে এস আলম সুগার মিলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পরে খুচরা বাজারে চিনির দাম কেজিপ্রতি ৫ থেকে ৭ টাকা বেড়েছে, তবে পাইকারি বাজারটি স্থিতিশীল রয়েছে। আসন্ন রমজানে যেন চিনির পাইকারি ও খুচরা বাজার দুটোই স্থিতিশীল থাকে সে উদ্দেশ্যে আজ অভিযান চালানো হয়েছে। চিনি বিক্রয়কারী দুটি প্রতিষ্ঠান আর এম এন্টারপ্রাইজ এবং নাবিল গ্রুপ কারো কাছেই কোন ক্রয় বিক্রয় রশিদ সংরক্ষিত ছিল না। ফলে তারা কত টাকায় কিনছেন বা বিক্রি করছেন তা আমরা জানতে পারছি না। এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী এ সুযোগে বাজারে চিনির দাম বাড়িয়ে ফেলছে। এজন্য সতর্কতামূলক ভাবে দুটি প্রতিষ্ঠানকে যথাক্রমে ৩০ ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া এবি ট্রেডার্সের এলসি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে তাদের প্রতি কেজি এলাচ আমদানি করতে ট্যাক্স ও আনুসঙ্গিক অন্যান্য খরচ সহ প্রায় ১৪৫০ টাকা পড়েছে। কৃষি বিপণন আইন অনুযায়ী পাইকারি পর্যায়ে ১৫% লাভ করলে দাম ১৬০০ থেকে ১৭০০ টাকার মধ্যে থাকার কথা। তবে ঐ প্রতিষ্ঠানে এলাচ বিক্রি হচ্ছিল ২২০০ থেকে ৩১০০ টাকা পর্যন্ত। প্রতিষ্ঠান প্রধানকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং তিনি জনসমক্ষে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে শ্রেণী অনুযায়ী ১৬০০ থেকে ২০০০ টাকার বেশী তিনি এলাচ বিক্রি করবেন না।
অভিযান চলাকালে সার্বিক সহযোগিতা করেন কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মোর্শেদ কাদের এবং কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি দল।