কক্সবাজারের উখিয়ার ২০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিশেষ অভিযান চালিয়ে আরসার অন্যতম শীর্ষ কমান্ডারসহ চারজনকে আটক করেছে র্যাব ১৫। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ১টি এলজি, ৭টি ককটেল, ৫ রাউন্ড এ্যামুনিশন ও ১২ বোর ১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে র্যাব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে, বৃহস্পতিবার ভোররাতে অভিযান চালিয়ে উখিয়ার ঘোনারপাড়া এলাকার ক্যাম্প-২০ এক্সটেনশন ব্লক-৫ থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো- উখিয়ার ২০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এম-৩৩ ব্লকের বাসিন্দা আহাম্মেদ হোসেন প্রকাশ হোসেন আহম্মেদ এর ছেলে মো. করিম উল্লাহ প্রকাশ মাষ্টার কলিম উল্লাহ (৩২), উখিয়ার ৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-১৫ ব্লকের বাসিন্দা মৃত মো. কায়সার এর ছেলে মো. আকিজ (২৭), উখিয়ার ১৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ই-৩ ব্লকের বাসিন্দা আবুল হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ জুবায়ের (২৯) ও উখিয়ার ২২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা বি-৪ ব্লকের বাসিন্দা মৃত হাসমত উল্লাহ এর ছেলে সাবের হোসেন প্রকাশ মোলভী সাবের (৩৫)।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন জানান, আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসীরা ক্যাম্প-২০ এ অবস্থান করছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। আরসার সন্ত্রাসীদের আস্তানার কাছাকাছি গিয়ে ক্যাম্পের কয়েকটি ব্লক ঘিরে ফেলি আমরা। এ সময় ধাওয়া দিয়ে চারজনকে আটক কর পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পাহাড়ি আস্তানা থেকে বেশ কয়েকটি বিদেশি পিস্তলসহ গুলি উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আটককৃত চারজনের মধ্যে মিয়ানমারের সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার বাংলাদেশ শাখার প্রধান কমান্ডার ও অর্থ শাখার প্রধান মো. করিম উল্লাহ ওরফে মাস্টার কলিম উল্লাহ এবং আরসা প্রধান আতাউল্লাহ জুনুনির অন্যতম দেহরক্ষী আকিজ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
র্যাব আরও জানায়, গত এক বছরে ক্যাম্প থেকে আরসার মোট ১০৩ জন সন্ত্রাসী গ্রেফতার হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ৬০টি দেশি-বিদেশি অস্ত্র, ৫২ কেজির বেশি বিস্ফোরক ও বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।
আটককৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে উখিয়া থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।