রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় ২২ বছর বয়সী এক তরুণীর প্রেমিকের সঙ্গে প্রেমঘটিত বিবাদ মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় পলাতক এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গ্রেফতারকৃতের নাম- মো. গালিফ (২২)।
শনিবার (১৬ মার্চ) রাতে রাজধানীর ভাটারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
রোববার (১৭ মার্চ) বিকেলে র্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক (অপস্ অফিসার) মো. মাহফুজুর রহমান এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণী গত ২৩ ফেব্রুয়ারি খিলক্ষেত থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করেন, তিনি রাজধানীর উত্তরায় একটি শো'রুমে কাজ করেন। মার্কেটে কাজ করার সময় প্রায় ছয় মাস আগে তার সঙ্গে এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের মধ্যে মাঝেমধ্যেই ঝগড়া হতো। ওই ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার জন্য সানি নামে এক যুবক ভুক্তভোগী তরুণীকে ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়। বিষয়টি সমাধানের জন্য ৩ নম্বর আসামি মাহাদী গত ২২ ফেব্রুয়ারি ওই তরুণীকে খিলক্ষেত যেতে বলেন। মাহাদীর কথায় তরুণী খিলক্ষেত যান। পরে তাকে সেখান থেকে খিলক্ষেত থানাধীন রাজউকের মার্কেটের সামনে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন মামলার এক নম্বর আসামি তানভীর ও দুই নম্বর আসামি গালিফ। তারা মাহাদীকে বলেন- ‘তোর কাজ ছিল তরুণীকে হাজির করা, এখন তোর কাজ শেষ, তুই চলে যা।’ তখন আসামি তানভীর ও গালিফ বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে ভুক্তভোগীকে ২২ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার দিকে জোর করে রিকশায় তুলে অপহরণ করে। তাকে খিলক্ষেত এলাকার একটি বাড়ির পঞ্চম তলা ভবনের ছাদে নিয়ে শারীরিক সম্পর্কের জন্য জোরাজুরি করে। এরই এক পর্যায়ে প্রধান আসামি তানভীর ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। এরপর রাত ১১টার দিকে কৌশলে দৌড়ে পালিয়ে বড় বোনের বাসায় চলে যান ভুক্তভোগী তরুণী।
র্যাব-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান বলেন, ঘটনার পর থেকে এ নিয়ে র্যাব ছায়া তদন্ত করতে থাকে। এরপর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আসামি গালিফকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার আসামি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।