গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে অন্তত অর্ধশতাধিক হাঁস মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। শত্রুতাবশত বিষ প্রয়োগে এসব হাঁস মেরে ফেলা হয়েছে বলে দাবি খামারি আব্দুল লতিফ মিয়ার। ক্ষতিগ্রস্ত খামারি উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের মৃত আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে।
এ ঘটনায় রোববার (৩১ মার্চ) বিকেলে ওই এলাকার কেফায়েত উল্লার ছেলে নাছির আলীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২ থেকে ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন খামারির বড় ছেলে মাজেদুল ইসলাম।
এর আগে একইদিন সকালে শ্রীপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামে লতিফ মিয়ার নিজস্ব খামারে এসব হাঁসের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, খামারির বাড়ির পূর্ব পার্শ্বেই তাদের হাঁসের খামার। বর্তমানে খামারে প্রায় ১০০ হাঁস লালন-পালন করা হচ্ছে। কিন্তু দীর্ঘদিন থেকেই একই এলাকার কেফায়েত উল্লার ছেলে অভিযুক্ত নাছির আলী খামারিদের বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। কারণ প্রতিবেশী নাছিম আলী অভিযোগকারীর বোনের হত্যা মামলার প্রধান আসামি। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রাতে খামারের পুকুরে অভিযুক্ত নাছির আলীকে দেখেন অভিযোগকারীর মা। আর পর দিন সকালে হাঁস পুকুরে নামলেই অন্তত ৬০টি হাঁসের মৃত্যু হয়।
অভিযোগকারী ও খামারির বড় ছেলে মাজেদুল ইসলাম বলেন, গতকাল রাতে আমার মা নাছিম আলীকে পুকুর পাড়ে দেখেছিলেন। আর সকালে হাঁসগুলো পুকুরে নেমেই একে একে ৬০টি হাঁস মারা যায়। প্রতিশোধ নিতেই নাছিম আলীই রাতের আধারে পুকুরে বিষ মিশিয়ে আমাদের হাঁসগুলো মেরে ফেলেছেন। এ ঘটনায় আমি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমি সুষ্ঠু বিচার চাই।
খামারী আব্দুল লতিফ বলেন, কুষ্টিয়া থেকে হাঁসের বাচ্চা এনে অনেক কষ্টে খামার গড়েছিলাম। নিজের পুকুর ও বাড়ির উঠানের মধ্যেই হাঁসগুলো পালন করতাম, অন্যের জমিতে নামতে দিতাম না। একেকটি হাঁসের ওজন আড়াই থেকে তিন কেজি পর্যন্ত হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, এর উপরেই আমাদের সাতজনের সংসার চলতো। সকালে হাঁসগুলো পুুকুরে নামার কিছুক্ষণ পরই মরতে শুরু করে। রোগ হলে তো এতগুলো হাঁস একবারে মারা যেত না। পুকুরে বিষপ্রয়োগ করে হাঁসগুলোকে হত্যা করা হয়েছে। আমার আয়ের একমাত্র সম্বল শেষ হয়ে গেল।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব আলম মুঠোফোনে বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।