এবার ঢাবির খণ্ডকালীন শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা | 2024-04-01 01:07:14

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ফের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের এক ছাত্রী। অভিযুক্ত শিক্ষক বিভাগটির খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে এক কোর্সে ক্লাস নিতেন।

রবিবার (৩১ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের এক সভায় অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তথ্যানুসন্ধ্যান কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এ নিয়ে ঢাবিতে গত ৭ মাসে পাঁচটি যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠেছে। এরই মধ্যে সবগুলোই শিক্ষকের দ্বারা হয়রানির অভিযোগ করেছেন নারী শিক্ষার্থীরা। তিনটি ঘটনায় সত্যতা পাওয়ায় শিক্ষকরা শাস্তি পেয়েছেন। দুইটি তদন্তাধীন রয়েছে।

রবিবার রাতে নাম না প্রকাশের শর্তে একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য বলেন, জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থী বিভাগে যৌন হয়রানির অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযুক্ত শিক্ষক ওই বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে ক্লাস নিতেন। পরে অভ্যন্তরীণভাবে বিভাগ অনুসন্ধান করে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে অভিযোগটি উপাচার্যের কাছে পাঠায়।

উপাচার্য বিষয়টি সিন্ডিকেটে আলোচনায় তুললে বিষয়টি যাচাই করে দেখতে আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সীমা জামানকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমান এবং সহকারী প্রক্টর সঞ্চিতা গুহ। তাদেরকে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়াও গত সিন্ডিকেট সভায় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে বিভাগের এক ছাত্রীর যৌন হয়রানির অভিযোগ যাচাইয়ে তিন সদস্যের তথ্যানুসন্ধান কমিটি করা হয়েছিল।

তাদেরকে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল, তবে তারা এখনও প্রতিবেদন জমা দিতে পারেননি।

এ দিকে রবিবারের সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ওঠা পিএইচডি গবেষণায় ‘চৌর্যবৃত্তির’ অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটিতে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছিরকে প্রধান করা হয়েছে। কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহাম্মদ এবং ভারপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মুন্সী। তাদেরকে কোনো সময় বেঁধে দেওয়া হয়নি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর