ফেনীর সোনাগাজীর মতিগঞ্জ ইউনিয়নে দোকানে বাকি দেওয়া-না দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে আবির হোসেন ছোটন (২৩) হত্যার ঘটনায় দোকান মালিক মো. নিলয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার (১ এপ্রিল) ঢাকা মহানগরীর মিরপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭। গ্রেফতারকৃত নিলয়কে সোনাগাজী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) র্যাব-৭ এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। গ্রেফতারকৃত নিলয় সোনাগাজী উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের ভাদাদিয়া (বড় বাড়ী) গ্রামের মো. বাবুল প্রকাশ টাইগার বাবুলের মেঝো ছেলে।
এর আগে গত ২৬ মার্চ এজাহারভুক্ত আসামি দোকানের মালিক নিলয়ের বন্ধু আবদুল্লাহ আল মামুনকে (২০) গ্রেফতারের পর সে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এদিকে মামলার প্রধান আসামি আরিফুল ইসলাম হৃদয় ঘটনার পর থেকে এখনো পলাতক রয়েছে।
র্যাব-৭ সূত্র জানায়, গোপনসূত্রে র্যাব জানতে পারে সোনাগাজীর মতিগঞ্জের চাঞ্চল্যকর ছোটন হত্যা মামলার এজাহারনামীয় অন্যতম প্রধান আসামি মোঃ নিলয় আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে রাজধানী ঢাকাতে আত্মগোপনে রয়েছে।
পরবর্তীতে সোমবার (১ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় র্যাব-৭ এবং র্যাব-২ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা মহানগরীর মিরপুর মডেল থানাধীন আনসার ক্যাম্প এলাকায় থেকে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামি কে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সোনাগাজী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
আসামি নিলয় আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে ছদ্মনাম ধারণ করে আত্মগোপনে ছিলো স্বীকার করেছে উল্লেখ করে র্যাব আরও জানায়, গ্রেফতারের পর আসামি নিলয়কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে নৃশংস, চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত হত্যা মামলার এজাহারনামীয় অন্যতম প্রধান আসামি মর্মে স্বীকার করে।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুদ্বীপ রায় পলাশ বলেন, গ্রেফতারকৃত নিলয়কে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ মার্চ রোববার দোকানে বাকী দেওয়া-নেওয়ার দ্বন্দ্বে সোনাগাজী উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের সিএনজি স্টেশনের যাত্রী ছাউনীর সামনে ছুরিঘাকাতে খুন হন আবির হোসেন ছোটন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো.আরমান হোসেন বাদী হয়ে আরিফুল ইসলাম হৃদয়কে প্রধান আসামী ও দোকান মালিক মো.নিলয় ও দোকান কর্মচারী নিলয়ের বন্ধু মামুনকে আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন৷