তরুণ প্রজন্মকে মাদক থেকে দূরে রাখতে এমপি হাবিবের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম,সিলেট | 2024-04-20 22:41:02

তরুণ প্রজন্মকে মুঠোফোনের আসক্তি ও মাদক থেকে দূরে রাখতে সিলেটের তিনটি উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে মিনি স্টেডিয়াম এবং একটি করে পার্ক নির্মাণ করা শুরু হয়েছে । স্থানীয় প্রয়াত সংসদ সদস্য ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার বরণীয় ব্যক্তিদের নামে তৈরি করা হচ্ছে মিনি স্টেডিয়াম।

ইতোমধ্যে স্টেডিয়াম ও পার্কের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা হয়েছে। নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান। সরকারি ও বেসরকারি অর্থায়নে আধুনিক মিনি স্টেডিয়াম ও পার্ক নির্মাণের এই উদ্যোগ গ্রহণ করায় প্রশংসায় ভাসছেন এমপি হাবিবুর রহমান হাবিব।

শনিবার(২০এপ্রিল) সিলেটের দক্ষিণ সুরমার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের কামাল বাজার এলাকায় শেখ রাসেল শিশু পার্ক’র উদ্বোধনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন শুরু হয়।

ভিত্তিপ্রস্থর উদ্বোধন করেন সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব। একইদিন দক্ষিণ ‍সুরমা উপজেলার সিলাম ইউনিয়নের বাদশাহী টিলায় খেলার মাঠ ও কাজী সিরাজ এমপি শিশু পার্ক, বালাগঞ্জ উপজেলার পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়নের পূর্ব ইছাপুরে সিলেট জেলা পরিষদের প্রয়াত চেয়ারম্যান এডভোকেট লুৎফুর রহমানের নামে খেলার মাঠ ও ফেঞ্চুগঞ্জে এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম মিঠাপানির জলাভূমি খ্যাত বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ হাওর হাকালুকি নামে ‘হাকালুকি খেলার মাঠের ভিত্তিপ্রস্থর উদ্বোধন করা হয়।

এসময় প্রতিটি উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ ও সর্বস্থরের জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সিলেট-৩আসন দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলা এবং সিলেট সিটি করপোরেশনের ৬টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। এর মধ্যে ৩ উপজেলায় ১৯টি ইউনিয়ন রয়েছে। এই ইউনিয়নগুলোতে সরকারি খাস জমি ও স্থানীয় দুই ব্যক্তির দান করা স্থানে স্টেডিয়াম ও শিশু পার্ক নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রতিটি স্টেডিয়াম দেড় থেকে তিন একর জায়গাজুড়ে হচ্ছে এবং প্রতিটি পার্ক ২০ শতক জায়গার মধ্যে নির্মাণ করা হচ্ছে। স্টেডিয়াম ও পার্ক নির্মাণে খাসজমি যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

ভিত্তিপ্রস্থর অনুষ্ঠানে সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মের অনেকে এখন ঘরবন্দী শৈশব-কৈশোর কাটায়। এতে প্রযুক্তির প্রতি অনেকে বেশি আসক্ত হয়ে পড়ছে। অনেকে মাদকাসক্তও হচ্ছে। এ ছাড়া ঘরে বসে কম্পিউটারে গেমস খেলার কারণে অনেকের সঠিক শারীরিক বিকাশও নিশ্চিত হচ্ছে না। এসব ভেবেই নির্বাচনের আগে প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে স্টেডিয়াম ও পার্ক নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। সে কারণেই এসব স্থাপনা নির্মাণে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

তিনি জানান, উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় মিনি স্টেডিয়াম ও পার্ক নির্মাণ করবে। একেকটি স্টেডিয়াম নির্মাণে বাজেট ধরা হয়েছে এক কোটি টাকা। তার পাঁচ বছর মেয়াদে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) এবং গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা-কাবিখা) কর্মসূচির আওতায় যে বরাদ্দ পাবেন, সেখান থেকে এখানে বরাদ্দ দেবেন। বাকি টাকা এলাকার বিভিন্ন প্রবাসী ও ধনাঢ্য ব্যক্তিরা দেবেন বলে কথা দিয়েছেন।

পাঁচ বছরের মধ্যে এসব স্থাপনার নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করা হলেও এক থেকে দুই বছরের মধ্যে বেশ কিছু স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ পুরোপুরি শেষ করে খেলার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে জানান সংসদ সদস্য।

এ সম্পর্কিত আরও খবর