সিরাজগঞ্জে শিশু ধর্ষণ: ৭ বছর পর হত্যার রহস্য উদঘাটন

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিরাজগঞ্জ | 2024-04-22 18:32:02

সিরাজগঞ্জে ৭ বছর পর শিশু সুবর্ণাকে (৮) দল বেঁধে ধর্ষণ ও হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে সিরাজগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে সিরাজগঞ্জ পিবিআই পুলিশ সুপার রেজাউল করিম পিবিআই কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানান।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- চৌহালী উপজেলার দত্তকান্দি গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে মো. ছাব্বির হোসেন (২০), একই গ্রামের আরফান মেম্বারের ছেলে মো. শাকিব খান (২১) ও বছির মেম্বারের ছেলে মিলন পাশা (২৭)।

রেজাউল করিম বলেন, ধর্ষণের ঘটনা সবাইকে বলে দিতে পারে বলে শিশু সুবর্ণাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় বলে জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত দুই আসামি ছাব্বির হোসেন ও শাকিল খান স্বীকার করেছেন। এর মধ্যে আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দিও দিয়েছেন আসামিরা।

পিবিআই এসপি আরও বলেন, ২৬ মার্চ বিকেলে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান দেখতে দত্তকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ে যায় সুবর্ণা। পরিবারের সদস্যরা মনে করেন সুবর্ণা ওই স্কুলের পাশে তার ফুফুর বাড়িতেই আছে। এ জন্য খোঁজাখুঁজিও করে নাই। পরদিন তার মরদেহ পাওয়া যায়। পিবিআই তদন্তকালে সুরুতহাল রিপোর্ট ও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখে সুবর্ণাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও তার গোপনাঙ্গে রক্ত দেখে তা আলামত হিসেবে সংগ্রহ করা হয়। আলামতের ডিএনএ পরীক্ষায় তার পরনের পোশাকে সিমেন্সের নমুনা পাওয়া যায়। এতেই নিশ্চিত হওয়া যায় সুবর্ণাকে হত্যার আগে একে একে ৮ জন ধর্ষণ করেন।

পিবিআই তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে গত ১৯ এপ্রিল শিশু সুবর্ণার ফুপাতো ভাই ছাব্বির হোসেনকে ঢাকার শ্যামলী থেকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার দত্তকান্দি থেকে শাকিব খান নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। তারা হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর