উপজেলা ভোট: নিরাপত্তায় ৫ দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-04-27 18:37:36

চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভোটের আগে পরে পাঁচদিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে গত মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত উচ্চপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সংক্রান্ত বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে কমিশনের একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গোয়েন্দা রিপোর্টে নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৪৯টি উপজেলাকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ভোট গ্রহণের দিন পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে এমন তথ্য ইসিকে জানানো হয়। এসময় পরিস্থিতি মোকাবিলায় একাধিক পরামর্শ দেওয়া হয়।

সূত্র জানায়, আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় চার ধাপের নির্বাচনে অনেক উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সংসদ সদস্যদের আত্মীয়-স্বজন প্রার্থী থাকায় পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। এছাড়া অনেক জায়গায় নিজেদের মধ্যে কোন্দল নিয়েও আলোচনা করা হয়।

গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে বিশেষ করে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিয়ে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সাধারণ ভোট কেন্দ্রে নিরাপত্তায় তিনজন অস্ত্রধারী পুলিশসহ ১৬ জন, ঝুঁকিপূর্ণ্য কেন্দ্রে চারজন অস্ত্রধারী পুলিশসহ ১৭ থেকে ১৮ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। পার্বত্য ও দুর্গম এলাকার সাধারণ কেন্দ্রে চারজন অস্ত্রধারী পুলিশসহ ১৭ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে পাঁচজন অস্ত্রধারী পুলিশসহ ১৮-১৯ জন নিয়োজিত করা হবে।

এছাড়া নির্বাচনী এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে পাঁচদিন মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্বপালনের জন্য বিজিবি, কোস্টগার্ড, র‍্যাব, পুলিশ ও আর্মড পুলিশ মোতায়েন করা হবে। প্রতিটি উপজেলার ইউনিয়ন, পৌরসভার সংখ্যা, আয়তন, ভোটার সংখ্যার ভিত্তিতে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের সংখ্যা নির্ধারিত হবে। মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স ভোটগ্রহণের পূর্ববর্তী ২ দিন, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরবর্তী ২ দিন মোট ৫ দিনের জন্য মোতায়েন থাকবে।

এসময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হলে তা সমন্বয়ের জন্য একটি টিম গঠন করা হবে। নির্বাচনী এলাকায় মোতায়েনকৃত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট রিপোর্ট করবে এবং জেলা ম্যাজিস্টেটের সিদ্ধান্ত ও পরামর্শক্রমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবে। রিটার্নিং অফিসারের চাহিদা অনুযায়ী জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশনাক্রমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোবাইল টিম কাজ করবে।

পাশাপাশি ভোটের মাঠে প্রার্থীদের প্রচারণায় আচরণবিধি মানাতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হবে বলে জানা গেছে। চার ধাপের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই ভোট গ্রহণের দিন পর্যন্ত প্রতি উপজেলায় একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে ভোটের আগে পরে পাঁচদিন নির্বাচনী এলাকায় অপরাধের তাৎক্ষণিক বিচারকার্য পরিচালনা করার জন্য প্রতি উপজেলায় একজন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হবে।

নির্বাচন কমিশনের পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী চারধাপে ৪৭৭টি উপজেলার তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথমধাপে ১৪৮টি উপজেলা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ মে। দ্বিতীয় ধাপে ১৫৯টিতে ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২টিতে ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫৫টিতে ৫ জুন ভোট হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর