চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ১১০০ কোটি টাকা দেনার মধ্যে ৫০০ কোটি টাকা পরিশোধ করেছেন বলে জানিয়েছেন মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
তিনি বলেন, আরও ৪৪০ কোটি টাকা দেনা বাকী আছে। দায়-দেনামুক্ত করে প্রকৃত জনসেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে কাজ চলছে।
বুধবার (১৫ মে) টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে প্রাক বাজেট (২০২৪-২৫) আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন।
মেয়র রেজাউল করিম বলেন, আমি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর দায়-দেনা নিয়ে খুবই জটিল পরিস্থিতির সম্মুখীন হই। তবে, কৃচ্ছতা সাধন, অপচয় হ্রাসসহ বিভিন্ন কৌশল নিয়ে প্রায় ১১০০ কোটি টাকার দেনা থেকে প্রায় সাড়ে ৫০০ কোটি টাকার দেনা শোধ করেছি। বর্তমান দেনার পরিমাণ ৪৪০ কোটি টাকা। বাকী দেনা শোধ করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে প্রকৃত জনসেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে বিভিন্ন আর্থিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
চসিকের আর্থিক সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে মেয়র বলেন, শিক্ষা-স্বাস্থ্যসহ চসিকের যে ব্যাপক কার্যক্রম তা কেবল হোল্ডিং ট্যাক্সসহ অল্প কিছু খাতের আয় দিয়ে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। এজন্য বন্দরসহ বিভিন্ন খাত থেকে আয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য শিশুপার্ক ও খেলার মাঠ করে দেওয়া হবে।
মেয়র আরও বলেন, চট্টগ্রাম পর্যটন নগরীর অথচ অহংকার করতে পারি না। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের উন্নয়নে অনেক কাজ করেছেন। কিন্তু আমরা সম্মিলিতভাবে চট্টগ্রামকে সাজাতে পারিনি। চট্টগ্রামের উন্নয়নে বন্দর ও কাস্টম থেকে সিটি ডেভেলপমেন্ট চার্জ আদায়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বাজেট নিয়ে মতামত দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অর্থনীতি বিভাগের সাবেক প্রফেসর ড. জ্যোতি প্রকাশ দত্ত, সিআরসি, আইসিএবি চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান এফসিএ, সিআরসি আইসিএবি সাধারণ সম্পাদক নাজনীন সুলতানা এফসিএ, চবি ফাইন্যান্স বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সালেহ জহুর, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট উমর হাজ্জাজ, নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার, মোহাম্মদ এরাদত উল্লাহ এফসিএ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- চসিক সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমি, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. ইমাম হোসেন রানাসহ কর্মকর্তারা।