জমি দখল করে হ্যাচারি, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া

রংপুর, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর, বার্তা২৪.কম | 2023-08-24 11:46:41

রংপুরের পীরগঞ্জে রামনাথপুর গ্রামে কৃষকের জমি দখল করে হ্যাচারি প্রজেক্ট চালু করার অভিযোগ উঠেছে আফতাব হ্যাচারি নর্দান লিমিটেডের বিরুদ্ধে।

সোমবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে জমির মালিক পক্ষ ও আফতাব হ্যাচারির দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী দালালের মাধ্যমে বেহাত হওয়া জমি উদ্ধারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, সোমবার দুপুর ১২টার দিকে জমির প্রকৃত মালিকানা দাবিকারী তছির উদ্দিন ও মসর উদ্দিনের পরিবারের লোকজনরা তাদের জমিতে চারা গাছ রোপণ করতে যায়। এ সময় হ্যাচারির দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা কর্মচারীরা বাধা দেয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ঘটে। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠলে আফতাব হ্যাচারির পক্ষের লোকজনরা পালিয়ে যায়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত হলেও ওই এলাকাতে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এ ব্যাপারে হ্যাচারির প্রজেক্ট দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা ওহাব আলী ও শাহাজান মিয়া জানান, বড়রামনাথপুর গ্রামে আফতাব হ্যাচারি নর্দান লিমেটেড বিশাল জমিতে তাদের প্রজেক্ট নির্মাণ কার্যক্রম শুরু করেছে। বিষয়টি নিয়ে জমির মালিকানা দাবিকারী দু’পক্ষ আফতাব হ্যাচারির বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ জানিয়েছে। কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে বসে আলোচনা করে উদ্বুদ্ধ অভিযোগের বিষয়টির সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে।

অপরদিকে জমির মালিকানা দাবিকৃত তছির উদ্দিন ও মসর উদ্দিন গং অভিযোগ করেন, পৈত্রিকভাবে তারা ২৬ একর জমির মালিকানা প্রাপ্ত। তাদের জমি দালালের মাধ্যমে বেহাত হওয়াতে আফতাব হ্যাচারি এক একর ৮০ শতক জমি জবর দখল করার চেষ্টা করে আসছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এর আগে তছির উদ্দিন ও মসর উদ্দিন গং ভুট্টা রোপণ করলে আফতাব হ্যাচারি নর্দান লিমিটেডের লোকজন তা কর্তন করে ক্ষেত নষ্ট করে। এ ঘটনায় তছির ও মসরের পক্ষে মোসাব্বর বাদী হয়ে রংপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পরে সোমবার দুপুরে ওই জমিতে তছির উদ্দিন ও মসর উদ্দিন গং প্রায় দেড় শতাধিক চারা গাছ রোপণ করেন। এতে আফতাব হ্যাচারী লোকজন বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে গ্রামবাসী উত্তেজিত হয়ে ওঠে। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে তারা পিছু হটে যায়।

এ বিষয়ে জানতে পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সরেশ চন্দ্রের মুঠোফোনে কয়েকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর