ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে মোংলায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর ফলে মোংলা বন্দরে নিজস্ব এলার্ট -‘৪’ জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। বন্ধ রয়েছে মোংলা বন্দরে অবস্থান করা জাহাজে পণ্য ওঠানামার কাজ। এছাড়া ঝড়ের কবলে পড়ে দুর্ঘটনা এড়াতে বন্দরে ৬টি বাণিজ্যিক জাহাজ নিরাপদে নোঙ্গরে রাখা হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে রোববার (২৬ মে) দুপুর ১২টার দিকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। দমকা বাতাসও বইছে। ১০৩টি আশ্রয় কেন্দ্রে ছুঁটছেন দুর্গতরা।
মোংলা উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নিশাত তামান্না বলেন, সুন্দরবন সংলগ্ন ও পশুর নদের পাড়ে বসবাসকারী উপকূলবাসীদের আশ্রয় কেন্দ্রে আনার জন্য সব কিছুই করা হচ্ছে। তাদের জন্য পর্যাপ্ত খাবারেরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এখনও যারা আশ্রয়কেন্দ্রে আসেনি তাদেরকে আনার জন্য তৎপরতা চালানো হচ্ছে। এছাড়া সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলে সতর্ক মাইকিং প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ে সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের বাসিন্দারা। তারা সুন্দরবনের পাশেই বসবাস করেন। এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী আকবর হেসেন বলেন, 'তার ইউনিয়নে ২৫টি আশ্রয়কেন্দ্রের প্রায় সবগুলোতেই উপকূলবাসীকে আনা হচ্ছে। ২৫টি কেন্দ্রের জন্য খিচুড়িসহ শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করেছি'।
মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মুনতাসীর ইবনে মহসীন জানান, 'শনিবার (২৫ মে) থেকেই আমরা সতর্ক রয়েছি। উপকূলবাসীকে প্রতি মুহূর্তে সচেতন করার লক্ষ্যে সতর্কমূলক প্রচার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
রোববার (২৬ মে) ভোর থেকে মোংলার পশুর নদে ও সুন্দরবন তীরবর্তী এলাকায় আমাদের সদস্যরা অবস্থান করছে। যে কোন পরিস্থিতি সামাল দিতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।'