ডিএনসিসির কাউন্সিলর আবুল কাশেমকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2024-05-26 17:13:11

মাদ্রাসার তহবিল লুটপাট ও শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আবুল কাশেম মোল্লাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (২৬ মে) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আশিকুর রহমান তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

দুদক সূত্র জানায়, কাশেমকে ঘণ্টাব্যাপী জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদক কর্মকর্তা। এসময় নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন কাশেম। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শাহ আলী থানার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, মিরপুরের শাহ আলীতে অবস্থিত মসজিদুল আকবর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আবুল কাশেম মাদ্রাসার সরকারি অ্যাকাউন্ট থেকে ৩২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ আছে। কাশেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের বেতনসহ সব সরকারি টাকা এবং মাদ্রাসার আয়ের টাকা বাংলাদেশ মাদ্রাসা গেজেটের ৪৫ (৪) ধারায় নগদ আয়কৃত অর্থ ব্যাংকে জমা না দিয়ে সরাসরি সরকারি আইন লঙ্ঘন করেছেন। প্রতিষ্ঠানের আয় করা অর্থ ১৯৮৬ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত মাদ্রাসার অগ্রণী ব্যাংক হিসাবে জমা হতো। কিন্তু মসজিদুল আকবর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার বর্তমান সভাপতি ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আবুল কাশেম মোল্লা (আকাশ) কারসাজি করে ২০১৬ সাল থেকে মাদ্রাসা আইনের তোয়াক্কা না করে নিজেদের মতো কিছু টাকা অ্যাকাউন্টে জমা করে বাকি লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

দুদক সূত্র আরও জানায়, আবুল কাশেম মোল্লা ক্ষমতার অপব্যবহার করে গত ১০ থেকে ১৫ বছরে ১০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ গড়েছেন, যার কোনো বৈধ উৎস নেই। তিনি ১৫ বছর আগেও ফুটপাতে কাঁচামালের ব্যবসা করতেন এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কাউন্সিলর হওয়ার পর তিনি আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন। এসব অভিযোগ রয়েছে।

এসব অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখতে এরই মধ্যে মাদ্রাসার সংশ্লিষ্ট নথিপত্র এবং আবুল কাশেমের ব্যক্তিগত নথিপত্র তলব করে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে সরকারি বিভিন্ন দফতরে চিঠি দেয় দুদক। বর্তমানে নথিপত্র যাচাই-বাছাই চলছে বলে জানা গেছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর