ঈদের ছুটিতে ভারত ভ্রমণে পাসপোর্টধারীদের দুর্ভোগ

, জাতীয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর) | 2024-06-15 10:49:45

পবিত্র ঈদুল আজহার টানা পাঁচ দিনের ছুটিতে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে ভ্রমণে পাসপোর্টধারীদের চাপ বেড়েছে। তবে কাঙ্ক্ষিত সেবা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। রয়েছে দালাল শ্রেণির হয়রানির অভিযোগ। বর্তমানে দুই পাশের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সারতে একেক জনের ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা সময় লাগছে। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন, সেবার মান বাড়াতে তারা কাজ করছেন। হয়রানি এড়াতে যাত্রীদেরকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

সরেজমিনে বন্দর ঘুরে জানা যায়, শুক্রবার ছিল সাপ্তাহিক ছুটির দিন আর শনিবার থেকে মঙ্গলবার ৪ দিন ঈদের ছুটি। বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানও সরকারি ছুটির সঙ্গে মিলিয়ে বন্ধ রেখেছে। এতে ৫ দিনের ছুটি পেয়ে চিকিৎসা, ব্যবসা, দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ ও স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে অনেকে যাচ্ছেন ভারতে, কেউ আসছেন বাংলাদেশে। এতে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেড়েছে যাত্রীদের চাপ।

প্রতিবছর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে প্রায় ২০ লাখ পাসপোর্টধারী যাতায়াত করে থাকে। ভ্রমণ কর বাবদ বাংলাদেশ সরকারের বছরে প্রায় ১০০ কোটি টাকা ও ভিসা ফি বাবদ ভারত সরকারের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা আয় হয়। ভ্রমণের ক্ষেত্রে বছরে এ অর্থের পরিমাণ দুই দেশে বাড়লেও সেবার বাড়ানোর দিকে তাদের লক্ষ্য নেই।

যাত্রীরা বলছে, পদ্মা সেতু চালুতে এখন ভোর ৪টার মধ্যে বন্দর ভিড়ছে দূরপাল্লার সব যাত্রীবাহী বাস। যাত্রীরা দ্রুত পৌঁছালেও বন্দর ভোর সাড়ে ৬টায় খোলায় যাত্রীদের ৩ ঘণ্টা গরমের মধ্যে মশার কামড় খেতে হয়। এতে অসুস্থ হয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছে অনেকে। তবে বাংলাদেশ অংশের কার্যক্রম কোন রকমে শেষ হলেও ভারত অংশে জনবল সংকটে আগের মত থাবায় পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ।

পাসপোর্টধারী মিনতি রায় বলেন, ভারত ভ্রমণে বাংলাদেশ সরকার নিচ্ছে ১০৫৫ টাকা ভ্রমণ কর এবং ভিসা ফি বাবদ ভারতীয় দূতাবাস নিচ্ছে ৮৫০ টাকা। তবে বাড়েনি সেবা। বন্দরের কার্যক্রম ভোর ৫টার মধ্যে শুরু হলে দুর্ভোগ অনেকটা কমবে বলে জানান তিনি।

পাসপোর্টধারী কবির হোসেন বলেন, ভোর সাড়ে ৪টা থেকে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে প্রচণ্ড গরম আর মশার কামড় খাচ্ছি। নেই যাত্রী ছাউনি।

আরেক যাত্রী মিহির রায় জানান, ভ্রমণ কর বাড়লেও সেবা নেই। ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা লাগছে ইমিগ্রেশন সারতে। রয়েছে দালালদের হয়রানি। নিরাপত্তাকর্মীদের চোখের সামনে এসব ঘটছে।

বেনাপোল স্থরবন্দর আর্মড ব্যাটালিয়ন পুলিশের ইনচার্জ বাদল চন্দ্র রায় জানান, ঈদের যাত্রী যাতায়াত বেড়েছে। দালাল শ্রেণির কাছে পাসপোর্ট না দিতে যাত্রীদের বলা হয়েছে।

বেনাপোল বন্দর পরিচালক রেজাউল করিম জানান, স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন ভারতে যায় সাড়ে ৩ হাজারের মতো যাত্রী। ঈদের ছুটিতে শুক্রবার ভারতে গেছে ৬ হাজারের বেশি। যাত্রীসেবা বাড়াতে নানান পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে জায়গা অধিগ্রহণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে সেবা বাড়াতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর