‘ওরা আমার বোনকে মাইরা ফালাইছে’

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী | 2024-06-15 14:04:15

নরসিংদীতে নূর হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অস্ত্রোপচারের সময় জুলেখা বেগম নামে এক নারী মারা গেছেন।

শুক্রবার (১৪ জুন) সন্ধ্যায় নরসিংদী শহরের রেল স্টেশন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

জুলেখার বড় বোন রাবেয়া বেগম অভিযোগ করেন, শুক্রবার বিকেল চারটার সময় বোন জুলেখা বেগমের প্রসব বেদনা দেখা দিলে তাকে দ্রুত নরসিংদী স্টেশন রোড এলাকার নূর হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে সিজারের মাধ্যমে অপারেশনের জন্য ১৪ হাজার টাকা চুক্তিতে স্বাক্ষর হয়। এরই মধ্যে ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করা হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে সিজার না করে নরমালে সন্তান প্রসব করানোর চেষ্টা করেন। পরে ব্যর্থ হয়ে ডাক্তারকে খবর পাঠায়। এজন্য আমি বলব ‘ওরা আমার বোনরে মাইরা ফালাইছে’।

কর্তব্যরত ডাক্তার রোজী সরকার  অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করায়, এরই মধ্যে সন্তানের মা জুলেখা বেগম মারা যায়। এ অবস্থায় সন্তানকে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল পাঠিয়ে দেয়। অপরদিকে জুলেখার উন্নত চিকিৎসার অজুহাতে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালায়। এদিকে জুলেখার স্বজনরা তার মৃত্যু নিশ্চিত জেনে হাসপাতালে কান্নাকাটি ও হইচই শুরু করে। এই ফাঁকে হাসপাতালের চিকিৎসকসহ সবাই হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়।

ঘটনার খবর পেয়ে নরসিংদী মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

এ ব্যাপারে মডেল থানার এস আই আবেদ হাসান বলেন, হাসপাতালে একজন রোগী মারা গেছেন এই খবর শুনে আমরা হাসপাতালে এসেছি। এসে দেখি, একটি মরদহ পড়ে আছে এবং তার আত্মীয়-স্বজন কান্নাকাটি করছেb।

তিনি আরও বলেন, এ অবস্থায় আমরা রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেছি এবং থানায় অভিযোগ দিতে বলেছি। অপরদিকে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি।

এছাড়া বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সনেট মোঃ নোমান বলেন, নরসিংদী ১০০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার পলাশ মোল্লা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি মীমাংসার জন্য চেষ্টা করেন। হাসপাতালের দায়িত্বশীল লোক না থাকায় অমীমাংসিত অবস্থায় ফিরে যান।

এদিকে বেসরকারি হাসপাতাল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সনেট মোঃ নোমান জানান, বর্তমানে যেসব ওষুধ দিয়ে চিকিৎসকরা কাজ করার কথা সেগুলো অনেকটাই দুষ্প্রাপ্য এর জন্য হাসপাতাল ও ওষুধ প্রশাসন দায়ী।

নরসিংদী ১০০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার পলাশ মোল্লা জানান, হাসপাতালে একজন রোগী মারা যাওয়ার ঘটনায় খবর পেয়ে দেখতে আসেন এবং বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেন কিন্তু দায়িত্বশীল কাউকে না পাওয়ায় বিষয়টি মীমাংসা করা যায়নি। 

এ সম্পর্কিত আরও খবর