আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে প্রিয়জনদের সঙ্গে কোরবানি দেওয়া ও ঈদ পালন করতে ঢাকা ছাড়ছেন রাজধানীবাসী।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাজধানীর শেষ কর্মদিবস হওয়ায় শুক্র ও শনিবার বাস টার্মিনালগুলোতে ঘরমুখো মানুষের ভিড় বেড়েছে।
এই সুযোগে ঢাকার চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী অঞ্চলের বিভিন্ন পরিবহন কাউন্টার পয়েন্টে যাত্রীদের ভিড়কে পুঁজি করে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া আদায় করতে দেখা গেছে।
এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে, ঢাকা-লক্ষ্মীপুর রুটের ‘ইকোনো পরিবহন’ ও ‘ঢাকা এক্সপ্রেস’। একই অভিযোগ ঢাকা-নোয়াখালী রুটের ‘লাল সবুজ’ ও ‘হিমাচল’ পরিবহনের বিরুদ্ধে।
সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে যাত্রীদের অভিযোগ, কয়েকটি পরিবহনে ভাড়া বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হয়েছে। প্রতিবছর ঈদকে কেন্দ্র করে এই রুটে বাস মালিকদের চাঁদাবাজি বেশি হয়। প্রতি টিকিটে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ৩শ থেকে ৪শ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে কাউন্টারগুলো। বিশেষ করে ঢাকা-লক্ষ্মীপুর রুটের ইকোনো ও ঢাকা এক্সপ্রেস ৫শ ৫০ টাকার টিকিট শনিবার ৮শ থেকে ৯শ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছে।
একই অভিযোগ, নোয়াখালী রুটের বাস কোম্পানি মালিকদের বিরুদ্ধেও। এই রুটের বাস ‘লাল সবুজ’ ও ‘হিমাচল’ পরিবহনও নির্ধারিত ভাড়া থেকে ৩শ থেকে ৪শ টাকা বেশি ভাড়া আদায় করছে।
সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল হুজুর বাড়ি এলাকায় ইকোনো পরিবহনের বাস যাত্রী শামীম হাসান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ঈদ এলেই বাড়তি ভাড়ার বোঝা নিতে হয় আমাদের। কয়েক সপ্তাহ আগেও ইকোনো পরিবহনে যে টিকিট ৫শ ৫০ টাকা ছিল, সে টিকিট এখন ৮শ টাকা নিয়েছে।
গাড়ির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন যাত্রী বার্তা২৪.কমকে বলেন, বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সরকারি অফিসের পাশাপাশি বেসরকারি অনেক অফিসও ঈদের ছুটি হয়েছে। ভেবেছিলাম, বৃহস্পতি বা শুক্রবারের পরে গেলে ভাড়া কমবে। এখন উল্টো ভাড়া আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
‘ইকোনো’ কাউন্টারের ম্যানেজার বার্তা২৪.কমকে বলেন, যে বাসগুলো এখন ঢাকা থেকে ছেড়ে যাচ্ছে, এই বাসগুলো ঢাকার আসার পথে খালি আসবে। সে কারণে তেলের টাকা ওঠানোর জন্য ভাড়া একটু বেশি নেওয়া হচ্ছে। কিছু যাত্রী আবার খুশি হয়ে বকশিস দিচ্ছেন।
‘লাল সবুজ’ পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমরা তো কম রেখেছি। অন্যরা তো আরো বেশি রাখছে। তার দাবি, বছরের অন্যান্য সময় মূল্য তালিকার চেয়ে ভাড়া কম রাখা হয়। সে কারণে ঈদে তারা সামান্য বেশি নিয়ে থাকে।
এদিকে, শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ঘুরে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বা যাত্রী হয়রানি বন্ধে বাস মালিক সমিতি ও বিআরটিএ’র কাউকে দেখা যায়নি।
যাত্রীদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় বাস মালিকেরা যে যার মতোন করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন।