ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক, পিকআপ ও বাসের ছাদে ঘরমুখী মানুষ

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর | 2024-06-15 19:29:34

ঈদুল আযহা উদযাপনে উত্তরাঞ্চলের পথে ঘরমুখী যাত্রীদের চাপ ক্রমেই বাড়ছে। হাতেগোনা কিছু পরিবহন বাদে বেশিরভাগ পরিবহনেই ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে ভাড়ার নৈরাজ্য। ফলে প্রান্তিক ও নিম্ন আয়ের মানুষজন পড়েছেন দুর্ভোগে। ফলে দিশেহারা হয়ে অনেকেই উঠে পড়ছেন খোলা ট্রাক, পিকআপসহ যাত্রীবাহী বাসের ছাদে। এতে চরম ঝুঁকি থাকলেও বাড়ি ফেরার আনন্দ উচ্ছ্বাসে মেতেছেন ঘরমুখী এসব মানুষ।

শনিবার (১৫ জুন) সকালে থেকে সরেজমিনে শিল্পঘন গাজীপুরের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা বাস টার্মিনাল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শেষ মূহুর্তে সড়কে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে দ্বিগুণ। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কাঙ্খিত পরিবহণের অপেক্ষায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাড়িয়েও ভাড়া নৈরাজ্যের কারণে অনেকেই গাড়িতে উঠতে পারছেন না। যার ফলে সল্প ভাড়ায় পশু বহনকারী ট্রাক, পিকআপসহ দূরপাল্লার বাসের ছাদে করে আপন গন্তব্যে ফিরছেন ঘরমুখী এসব মানুষ।

এদিকে মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধে ফিটনেসবিহীন পরিবহন ট্রাক পিকআপ ও বাসের ছাদে ভ্রণমের ব্যাপারে পুলিশের কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তার কোন প্রভাব দেখা যায়নি সড়কে।

রুবায়েদ হাসান নামে এক যুবক বার্তা২৪. কে বলেন, রংপুরের বাস ভাড়া চাচ্ছে ১৬০০ টাকা। এখন পরিবার নিয়ে যদি এতো টাকা ভাড়া দিয়ে যাই তাহলে ঈদ করব কিভাবে। তাই অল্প খরছে ট্রাকে যাব বলে অপেক্ষায় আছি।

হুমাইরা খাতুন নামে এক পোশাক শ্রমিক বলেন, বাস ভাড়ার যে অবস্থা এতে তো বাড়ি যেতেই সব ফুরিয়ে যাবে। পরিবারের জন্য কিছু কিনতে হিমসিমে পড়ে যাব। এখন ভাড়া বাচাতে ট্রাকে উঠতে চাচ্ছি।

তবে গাজীপুর রিজিয়নের নাওজোড় হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেন বার্তা২৪. কে বলেন, আমরা যথাসম্ভব চেষ্টা করি যাতে কেউ ঝুঁকি নিয়ে যাত্রা না করে। তবুও পাবলিক তো মানতে চায় না। পুলিশের অগোচরেই ট্রাকে বাসের ছাদে উঠে পড়ে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর