ঈদযাত্রায় নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে ঘরমুখী মানুষের চাপ

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার, ঢাকা | 2024-06-15 20:30:11

ঈদকে কেন্দ্র করে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক ব্যবহার করে উত্তরবঙ্গের প্রায় ১৭ জেলার মানুষ ঢাকা ছাড়ছেন। এ মহাসড়কের বিভিন্ন স্পটে বেলা শেষ হতেই যাত্রীদের চাপ বাড়তে দেখা গেছে।

শনিবার (১৫ জুন) সন্ধ্যার দিকে মহাসড়কের বাইপাইল ত্রি-মোড় এলাকায় যাত্রীদের তীব্র চাপ চোখে পড়ে। সড়কে শৃংখলা বজায় রাখতে ও যানজট নিরসণে কাজ করতে দেখা গেছে পুলিশসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যদের।

বাইপাইল ত্রিমোড়ে আব্দুল্লাহপুর-ইপিজেড সড়ক ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক মিলেছে। তাই ঢাকার আব্দুল্লাহপুর ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ব্যবহার করে উত্তরবঙ্গমুখী যাত্রীদের বাইপাইল মোড় পার হতেই হয়। তাই বাইপাইল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পয়েন্ট। পুলিশকেও তাই এই পয়েন্টে জোরালো ভূমিকা পালন করতে হয়।

সরেজমিনে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল ছাড়াও বলিভদ্র, শ্রীপুর, বিকেএসপি, জিরানী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গাড়ির ধীর গতি চোখে পড়েছে। চন্দ্রামুখী লেনে গাড়ির প্রচুর চাপ থাকলেও ঢাকা বা নবীনগরমুখী লেন বেশিরভাগ সময় ফাঁকাই মনে হয়েছে। তবে চন্দ্রায় অতিরিক্ত চাপ থাকার কারণে জ্যাম কিছুক্ষণ পরপরই বাড়ইপাড়া কিংবা কবিরপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত চলে আসতে দেখা গেছে। রাত পৌনে ৮ টার দিকে চন্দ্রা থেকে জিরানী পর্যন্ত প্রায় ৬ কিমি যানজট ছিল।

সড়ক ব্যবহারকারীরা জানিয়েছে, এ সড়কে নির্ধারিত বাস টার্মিনাল না থাকায় মহাসড়ক ব্যবহার করেই যাত্রীবাহী বাসগুলো যাত্রী ওঠা-নামা করায় তাই যানজট প্রায় লেগেই থাকে।


এছাড়া, সাভারের আরেকটি মহাসড়ক ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক। ঢাকার গাবতলী থেকে আমিনবাজার পর্যন্ত কিছুটা চাপ থাকলেও তেমন যানজট চোখে পড়েনি। শুধুমাত্র বিশমাইল বাসস্ট্যান্ড থেকে নবীনগর স্ট্যান্ড পর্যন্ত গাড়ির ধীর গতি রয়েছে। এছাড়া ঢাকামুখী লেনে নয়ারহাট থেকে নবীনগর এবং আমিনবাজারে যানজট দেখা গিয়েছে।

বাইপাইল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় থেমে থাকা বাসের যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গাড়ি কোনো স্পটেই বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিল না। তবে গাড়ির গতি বেশ কম ছিল।

বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নাটোর যাব। প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি। আগে যে বাসের ভাড়া ছিল ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা সেই বাস এখন ভাড়া চায় ১ হাজার টাকা। তাও সিটও পাচ্ছি না।

সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী বলেন, দুপুরের পর থেকে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। তবে আমরা ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলো নজরদারির মধ্যে রেখেছি যেন যানজট না লাগতে পারে। আমাদের সঙ্গে থানা পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ, ডিবি পুলিশসহ সবাই একযোগে কাজ করছে। আজ রাতের মধ্যেই অতিরিক্ত চাপ শেষ হয়ে যাবে আশা করছি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর