এই মুহূর্তে বলার মতো কিছু আমাদের হাতে নেই। বিষয়টি পুরনো তবে নতুন একটা যাত্রা শুরু বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নবম মজুরি বোর্ড রোয়েদাদ ২০১৮ পর্যালোচনা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিষয়টি কতটা সিরিয়াস দেখা হচ্ছে তার বড় প্রমাণ হচ্ছে বর্তমান মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে তোলা। আগের চেয়ে হাইপাওয়ার কমিটি করা হয়েছে।
যতদ্রুত সম্ভব আলাপ আলোচনার মাধ্যমে রিয়েলিস্টিক সমাধান করা হবে। আমরা আজকে নিজেরা এবং নোয়াবের সঙ্গে বটম লাইন নিয়ে আলোচনা করেছি। আন্তরিক পরিবেশে আলোচনা হয়েছে, সাংবাদিকদের সঙ্গে আরও আলোচনা হবে বলে জানান তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ওয়েজবোর্ড টেলিভিশন অন্তর্ভুক্তির বিষয়েও আলোচনা চলছে। ওয়ান সাইডে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিলে তা বাস্তবায়নে সমস্যা হয়। তাই সবার সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, দেশে অনলাইন মিডিয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। অনেকে ভালো করছে। অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনা হচ্ছে তখন ভূঁইফোঁড়গুলো আপনাতেই ফেজ আউট হয়ে যাবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
বেলা পৌনে ১১টায় মন্ত্রিসভার বৈঠক শুরু হয়। বেলা পৌনে ১২ টায় বিশেষ আমন্ত্রণে যোগদান করেন নোয়াব নেতারা।
২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে নবম ওয়েজ বোর্ড (মজুরি বোর্ড) গঠন করে সরকার। ১৩ সদস্যের এই বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. নিজামুল হককে।
কমিটি গত ৪ নভেম্বর সুপারিশ জমা দেয়। এতে পাঁচটি শ্রেণিতে ১৫টি গ্রেড রয়েছে। প্রথম তিনটি গ্রেডে ৮০ শতাংশ এবং নিচের তিন গ্রেডে ৮৫ শতাংশ বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া ৬০-৭০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়।
সুপারিশ পর্যালোচনার জন্য মন্ত্রিসভা কমিটি গঠন করা হয়। দশম সংসদের মেয়াদ শেষ হলে একাদশ সংসদে ওই কমিটি পুনর্গঠন করা হয় গত ২১ জানুয়ারি।