সবজি চাষে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, জেলা ও মেলায় অংশগ্রহণকারী স্টলের মাঝে পুরস্কার বিতরণ ও সম্মাননার মধ্য দিয়ে শেষ হলো জাতীয় সবজি মেলা ২০১৯।
শনিবার (২৬ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানী ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনের সম্মেলন কক্ষে এই পুরস্কার বিতরণ ও সম্মাননা প্রদান করা হয়।
সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জনাব মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু এই সম্মাননা ও পুরষ্কার বিতরণ করেন।
এসময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, একসময় দেখা যেতো গ্রামের লোকেরা তাদের দৈনন্দিন শাক-সবজীর চাহিদা তাদের নিজ বাড়ির অঙ্গিনা থেকে পূরন করতো, কিন্তু এখন তা দেখা যায় না, তাই আমি কৃষি বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিচ্ছি আঙ্গিনা কৃষি কীভাবে আবার ফিরিয়ে আনা যায় সেই বিষয়ে যেনো তারা কাজ করেন।
তিনি বলেন, বাড়ির আঙ্গিনাতে শাক-সবজী চাষ করে প্রত্যেকে তার চাহিদা পূরন করতে পারবে, এতে করে বড় ফার্ম বা বাজারের পণ্যের উপর নির্ভর করতে হবে না।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের কৃষি জমির পরিমাণ বাড়েনি কিন্তু আমাদের আমাদের কৃষি পণ্যের উৎপাদন অনেক বেড়ে গেছে, আমরা বিশ্বে আলু উৎপাদনে ৮ম ও সবজি উৎপাদনে ৩য় অবস্থানে আছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে, আমাদের এই অগ্রযাত্রা বজায় থাকবে।
মন্ত্রী খাদ্য শস্য সংগ্রহ করনের ক্ষেত্রে বেশি করে হিমঘর তৈরির প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন, হবিগঞ্জের মো. বদু মিয়া, দিনাজপুরের মো. হামিদুল ইসলাম, পাবনার মোছাঃ বেলী বেগম, খুলনার সুরেশ্বর মল্লিক, খাগড়াছড়ির সফিউল বাশার।
বাড়ির ছাদে সবজি চাষের জন্য, মিরপুরের মোঃ আবুল কালাম আজাদ, মোহাম্মদপুরের মোঃ হামিদুর রহমান, যাত্রাবাড়ীর মোঃ সাইফুল ইসলাম ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে স্মৃতি ফার্ম ও এগ্রো ফার্ম ও নার্সারি। তাছাড়া জেলা পর্যায়ে রাজশাহী, সাতক্ষীরা, কক্সবাজার ও মাদারীপুর জেলা পুরস্কার লাভ করে।
আয়োজিত সম্মাননা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোঃ নাসিরুজ্জামান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবদুর রউফ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অমিতাভ দাসসহ আরও অনেকে।