ফুটপাতে ভবঘুরের মরদেহ, এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে লাশ পাঠালো পুলিশ

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-07-01 01:18:30

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে এক ভবঘুরের মরদেহ উদ্ধার করে শেষ গোসলসহ আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে কাফনের কাপড় পড়িয়ে এম্বুলেন্সে করে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়েছে ডিএমপির মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।

রোববার (৩০ জুন) সকালে মোহাম্মদপুর থানার গজনবী রোড এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধারের পর পরিচয় শনাক্তের পর নিহতের গ্রামের বাড়িতে মরদেহ পাঠানো হয়।

নিহতের নাম- গোলাম মোস্তফা (৪৯)। তিনি নওগাঁ জেলার রাণীনগর উপজেলার সুখান দিঘী গ্রামের মৃত আকুল মোল্লার সন্তান।

নিহতের ভাতিজা সাইদুল মোল্লা জানান, তার চাচা দীর্ঘদিন যাবৎ মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন অবস্থায় ছিলো। বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর দীর্ঘদিন তিনি নিখোঁজ ছিলেন। আজকে সকালে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি মোহাম্মদপুর গজনবী রোডে পাঁকা রাস্তার মাথায় ফুটপাতে ওপর অজ্ঞাত অবস্থায় আমার চাচার মরদেহ পড়ে আছে। পরে আমরা খবর পেয়ে থানা পুলিশের মাধ্যমে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গ থেকে লাশ বুঝে নেই। আমরা গ্রামে দিন মজুরির কাজ করে কোনরকম জীবিকা নির্বাহ করি। এখান থেকে আমার চাচার মরদেহ নেওয়া এবং মরদেহের জন্য কাফনের কাপড় কেনার মতো সামর্থ্য আমাদের নেই। বিষয়টি থানা পুলিশকে বুঝিয়ে বললে তারা ওসি স্যারের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। পরে তিনি এসে আমাদের এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া ও কাফনের কাপড়ের টাকাসহ খরচের জন্য টাকার ব্যবস্থা করে দেন। পুলিশের সহায়তায় আমার চাচার মরদেহ আমরা গ্রামে নিয়ে দাফন করতে পারবো।

এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজুল হক ভূঞা বলেন, আজ সকালে আমরা খবর পেয়ে গজনবী রোডের ফুটপাত থেকে অজ্ঞাত ভবঘুরে একজনের মরদেহ উদ্ধার করি। পরে সিআইডি ফরেনসিক টিমকে খবর দিলে তারা এসে নিহতের পরিচয় শনাক্ত করলে আমরা তার গ্রামের বাড়িতে খবর দেই। ওনার ভাতিজা আসার পরে আমাদের জানায় তাদের পরিবার আর্থিকভাবে খুবই অস্বচ্ছল। তাদের কাছে কাফনের কাপড় কেনার টাকাও নেই।

পরে মানবিক দিক থেকে আমি স্ব-উদ্যোগে আমাদের অন্যান্য অফিসাররাসহ মিলে এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া, কাফনের কাপড় এবং খরচের জন্য কিছু টাকা জোগার করে গ্রামের বাড়িতে তার মরদেহ পাঠাই। আমরা চাই মানবিক দিক বিবেচনা করে সবাই সবার পাশে দাঁড়াক।

এ সম্পর্কিত আরও খবর