রাজশাহীতে আ.লীগ নেতা হত্যা মামলায় পৌর মেয়র গ্রেফতার

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী | 2024-07-06 12:12:15

রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাছ আলীকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

শুক্রবার (৫ জুলাই) রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ২২টি মামলা ও ১৭টি সাধারণ ডায়েরি রয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফুল ইসলাম বাবুল হত্যার ঘটনায় বাঘা থানায় হওয়া মামলার ১নং আসামি বাঘা পৌর মেয়র মো. আক্কাস আলীকে গ্রেফতার করেছে ডিবি মতিঝিল বিভাগ। একই সাথে মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরও চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।

তারা হলেন- মজনু, টুটুল, আব্দুর রহমান ও স্বপন। তাদেরকেও রাজশাহী জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হাবীবুর রহমান বলেন, বাঘা থানার একটি হত্যা মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে তাকে বাঘা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বাঘা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, বাবুল হত্যায় পৌর মেয়রকে প্রধান আসামি করে মামলা করা হয়। এই মামলায় মেয়রের ভাগনে ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগ নেতা মেরাজুর ইসলাম মেরাজসহ ইতিমধ্যে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গত ২২ জুন বাঘা উপজেলা পরিষদ চত্বরের সামনে পৌর মেয়র আক্কাছের অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগ। এসময় পৌর মেয়রের নেতৃত্বে ওই মানববন্ধনে বাধা দিতে আসলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল গুরুতর আহত হন। পরে গত ২৬ জুন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এরপর থেকে আক্কাছ আলী ঢাকায় এসে আত্মগোপন করেন।

গত ২৩ জুন উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ও উপজেলা যুব লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহিনুর রহমান পিন্টু বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আইনে বাঘা থানায় আক্কাছ আলীকে প্রধান আসামি করে ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলার দুই নম্বর আসামি পাকুড়িয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম মেরাজসহ ১০ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাত আরও ২০০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়।

অপর দিকে বাজুবাঘা ইউনিয়নের তেপুকুকুরিয়া গ্রামের আবুল কালাম নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে রাজশাহীর জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ ও দ্রুত বিচার আদালতে একটি মামলা করেন। এই নালিশি মামলায় থানার মামলার বাদী উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ও উপজেলা যুব লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহিনুর রহমান পিন্টুকে প্রধান আসামি করে ৩২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও ১০০-১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর