রংপুরে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে রোগীর স্বজনের পেটে লাথি মারার অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
রোববার (৭ জুলাই) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান জাতীয় মানবাধিকার কমিশন জনসংযোগ কর্মকর্তা ইউশা রহমান।
ইউশা রহমান জানান, গত ৫ জুলাই গণমাধ্যমে প্রচারিত ‘রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক, ডাক্তারকে ডাকতে গেলেই মারলেন লাথি’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নজরে এসেছে। এ ঘটনায় কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগ গ্রহণ করেছে। কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি আগামী ২০ আগস্টের মধ্য প্রতিবেদন রংপুর জেলা প্রশাসকে কমিশনে জমা দেওয়ার কথা বলেছেন।
তিনি জানান, সুকুমার মজুমদার নামে এক চিকিৎসকের নামে রংপুরে রোগীর স্বজনের পেটে লাথি মারার অভিযোগ উঠেছে। তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। তিনি নিয়মিত রোগী দেখেন পপুলার-২ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।
গত বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীর রোগীর স্বজনের নাম ছালমা বেগম। তার বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে।
এই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বলেন, আমার চাচা দীর্ঘদিন ধরে গুরুতর অসুস্থ। ১৪ দিন আগে অসুস্থ চাচাকে নিয়ে ডা. সুকুমার মজুমদারকে দেখাই। এ সময় তিনি প্রেসক্রিপশন দিয়ে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে ভর্তি করাতে বলেন। দুই সপ্তাহ পরও চাচার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় পপুলার-২ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিয়ে আসি ডা. সুকুমার মজুমদারকে দেখাতে। কিন্তু চাচার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়া সত্ত্বেও তিনি সিরিয়াল দিচ্ছিলেন না। এক পর্যায়ে আমার চাচা নিঃশ্বাস নিতে পারছিলেন না। শেষে আমি ডাক্তারের রুমে গেলে উনি কোনো কিছু বলার আগেই আমার পেটে লাথি মারে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
নারীকে লাথি মারার বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. সুকুমার মজুমদার বলেন, ওই নারী জোর করে চেম্বারে ঢোকার চেষ্টা করলে আমার সহকারি তাকে বাধা দেন। পরে জোর করে চেম্বারে ঢোকে। এতে রেগে গিয়ে আমি তাকে ধাক্কা দেই। তার পেটে লাথি মারার কথা মিথ্যা। তবে যেহেতু আমি তাকে রেগে গিয়ে ধাক্কা মেরেছি সেজন্য তার কাছে ক্ষমা চেয়েছি। ভবিষ্যতে যেন এমন না হয় এ ব্যাপারে সতর্ক থাকব।