বাংলা ব্লকেডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১২ কিমি যানজট
সরকারি চাকরির নিয়োগে কোটা পদ্ধতি বাতিল এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে চতুর্থদিনের মতো ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে মহাসড়কের দু’পাশে প্রায় ১০-১২ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীদের সাথে পূর্বের মত একাত্মতা পোষণ করে অংশ নিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজসহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজ, জেলার বিভিন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
- বাংলা ব্লকেডে স্থবির রাজধানী
- সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলবে ব্লকেড
- আপিল বিভাগের আদেশ প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা
- কোটাবিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার যৌক্তিকতা নাই: অ্যাটর্নি জেনারেল
বুধবার (১০ জুলাই) বৃষ্টিতে ভিজে সকাল ১১ টার দিকে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার কোটবাড়ি অংশে এসে সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এ অবরোধ শেষ হয় বিকাল সাড়ে তিনটায়।
এসময় তারা ‘‘লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই’, ‘আমার সোনার বাংলায়’, ‘বৈষ্যমের ঠাই নাই, লেগেছেরে লেগেছে’, ‘রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘একাত্তরের হাতিয়ার’, ‘গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘সারা বাংলা খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’’ ইত্যাদি বলে স্লোগান দেন।
আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীরা মহাসড়কে ক্রিকেট-ফুটবল খেলায় মেতে উঠেন। এছাড়া অবরোধ চলাকালীন সার্বিক যান চলাচল বন্ধ থাকলেও এম্বুলেন্সগুলো ছেড়ে দেন অবরোধকারীরা।
অবরোধ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ও আন্দোলন সমন্বয়কদের মধ্যে অন্যতম মোহাম্মদ সাকিব হোসাইন বলেন, ‘আজকে আমাদের অবরোধ ছিল সন্ধ্যা পর্যন্ত। কিন্তু আবহাওয়া জনিত কারণে আমরা আমাদের আন্দোলন এখানেই শেষ করছি। পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা আমরা অনলাইনে জানিয়ে দিব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের দাবিতে এখনো অটল আছি। আমাদের দাবি বিচার বিভাগের কাছে না। নির্বাহী বিভাগের কাছে। সংসদে কোটা বিষয়ক একটি সময়োপযোগী বিল পাশ করাতে হবে।’
ময়নামতি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল বাহার মজুমদার বলেন, ‘অবরোধের কারণে মহাসড়কে প্রায় ১০-১২ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা যানজট নিরসনে কাজ করছি।’
এর আগে গত ৪, ৭ ও ৮ জুলাই ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক যথাক্রমে তিন ঘণ্টা ও চার ঘণ্টা করে অবরোধ করে রাখে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
প্রসঙ্গত, গত পাঁচই জুন নবম থেকে ১৩তম গ্রেডের সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা পদ্ধতি বাতিলের সরকারি সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট। কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই রায় দেয়া হয়েছিল। এর প্রতিবাদ জানিয়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে বুধবার দশম দিনের মত কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।