কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা পুরোপুরি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। চারদিকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সাঁজোয়াযানসহ অবস্থান নিয়েছে, সেখানেই কাউকেই দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না।
সেমবার (০৫ আগস্ট) বেলা ১১টায় এমন চিত্র দেখা গেছে। সকালের দিকে কিছু আন্দোলনকারী সেখানে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ওপর টিয়ারশেল ও গুলি ছুঁড়ে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। কয়েকজনকে আটক ও একজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিগত কয়েকদিন ধরেই শহীদ মিনারে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালন করে আসছে। গতকালের (৪ আগস্ট) অসহযোগ আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ছিল শহীদ মিনার ও শাহবাগ কেন্দ্রীক। সোমবারের (৫ আগস্ট) ঢাকা মার্চ কর্মসূচির কেন্দ্রীয় প্রোগ্রামের স্থান শহীদ মিনার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এখান থেকেই বিকেলে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ।
রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেওয়ার জন্য জোন ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে পরিস্থিতি অনুযায়ী বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হবে।
শহীদ মিনার অভিমূখী প্রায় সকল সড়কেই পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর অবস্থান দেখা গেছে। পলাশী, নীলক্ষেত, কাটাবন, শাহবাগ এলাকায় সাঁজোয়াযান নিয়ে সেনাবাহিনীর অবস্থানের খবর পাওয়া গেছে। অন্য যে কোনো দিনের চেয়ে আজকের কারফিউয়ে পুলিশকে বেশ তৎপর দেখা গেছে। রাস্তায় কাউকে পেলেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সরকার পতনের এক দফা দাবিতে অসহযোগ আন্দোলনের পাশাপাশি সারাদেশে ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। লং মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচির তারিখ ৬ আগস্ট থাকলেও একদিন এগিয়ে সোমবার (৫ আগস্ট) এ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।