ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের উন্নয়নের দিকে দৃষ্টি দিচ্ছি: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম | 2023-09-01 19:48:48

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের দেশটাে এতো চমৎকার, এতো সুন্দর, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। সেই সাথে আমাদের যে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সারা বাংলাদেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে আছে। তাদের জীবনমান যাতে উন্নত হয় সেদিকেও বিশেষভাবে দৃষ্টি দিয়ে যাচ্ছি।’

বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। অনুষ্ঠানে মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে বৃত্তির চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। কাউকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বা অবহেলিত ভাবলে চলবে না। দেশের প্রত্যেক নাগরিকের সমান অধিকার। ধর্ম-বর্ণ, জাতি গোষ্ঠী নির্বিশেষে সকলের সমান অধিকার থাকবে। আমরা সেটাই নিশ্চিত করতে চাই এবং এটা নিশ্চিত করবো। এটাই আমাদের লক্ষ্য।’

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে পরিকল্পনা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারে আসার পর প্রায় দুই দশক ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামে একটা অশান্ত পরিবেশ ছিল। তা সমাধান করার জন্য যখন আমি উদ্যোগ নিই এবং সফলতা অর্জন করি। পাবর্ত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি করি। শান্তি চুক্তি করার ফলে ঐ অঞ্চলের অধিবাসীদের জীবন মান উন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি হয়।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আলাদা একটা ফান্ড তৈরি করে সমতল ভূমির ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠেীদের সহযোগিতা করা, ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা, সংস্কৃতিক বিকাশে ব্যবস্থা নেওয়া, সেই সাথে শিক্ষায়-দীক্ষায় যেন তারা সুন্দর জীবন পায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে এই বৃত্তি দেওয়া শুরু করি।’

প্রধানমন্ত্রী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সংস্কৃতির বিকাশ ঘটানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘শিক্ষা-দীক্ষায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য সকল জনগোষ্ঠী যেন সমান সুযোগ পায়, কেউ যেন অহেলিত না থাকে। কেউ যেন দূরে পড়ে না থাকে। সেই লক্ষ্য নিয়ে কিছু উদ্যোগ নিয়েছি।’

বৃত্তিপ্রাপ্ত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের নিজস্ব পোশাক পরে অনুষ্ঠানে আসার বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কাজের প্রয়োজনে মানুষ পোশাক পরবে এতে সন্দেহ নেই। কিন্তু নিজের সংস্কৃতি, নিজস্ব স্বকীয়তাটাও মাঝে মাঝে প্রকাশ করা প্রয়োজন। তাতে মানুষ দেখতে পারে, আমাদের বৈচিত্র্য কত চমৎকার!’

বৃত্তিপ্রাপ্তদের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তোমরা প্রত্যেকেই দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে ও দেশের সার্বিক কাজে অবদান রাখবে এবং নিজেদেরকে সেভাবে গড়ে তুলবে। পাশাপাশি নিজস্ব কিছু কাজ, নিজস্ব কিছু স্বকীয়তা আছে সেটাও তোমাদের বজায় রাখতে হবে। যার যার পেশা, সেই পেশাটা ফেলে দিলে চলবে না। সেই পেশাটাকেও ধরে রাখতে হবে এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে যেন জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখে সেই দিকে বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মূখ্যসচিব নজিবুর রহমান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসান। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, মন্ত্রীপরিষদের সদস্য, কূটনীতিকবৃন্দ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর