প্রশ্নপত্র বিতরণে ‘গরমিল’, ফেলের শঙ্কা

রংপুর, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর, বার্তা২৪.কম | 2023-08-27 20:07:38

আজ থেকে শুরু হওয়া মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার প্রথমদিনে অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্রে নিয়মিতদের জোরপূর্বক পরীক্ষা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এ ঘটনার প্রতিবাদে ওই কেন্দ্রের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন উদ্বিগ্ন পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।

রংপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বরত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠে।

জানা গেছে, এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে বাংলা (আবশ্যিক-সৃজনশীল) প্রথমপত্রের প্রশ্নপত্র বিতরণের সময় অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের জন্য ২০১৮ সালের সিলেবাসে প্রণীত (গুলিস্তান সেট-৪) প্রশ্নপত্র নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের হাতে দেয়া হয়। পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা পর ওই কেন্দ্রের কয়েকটি কক্ষের নিয়মিত পরীক্ষার্থীরা ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিতে অপারগতা জানায়। কিন্তু দায়িত্বরত শিক্ষকরা তাদের ওই প্রশ্নেই পরীক্ষা দেয়ার জন্য বলেন। এতে পরীক্ষার কক্ষে নিয়মিতদের অনেকেই বাধ্য হয়ে ২০১৯ সালের প্রশ্নপত্রের (মল্লিকা সেট-৪) পরিবর্তে ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দেন।

বিকেলে সরেজমিন ওই কেন্দ্রে গেলে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন, 'শ্যামপুর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে ভিআইপি শাহাদাৎ হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়, পালিচড়া এমএন উচ্চ বিদ্যালয়, রাধাকৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও পদাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের নিয়মিত ও অনিয়মিত মিলে মোট ৩০১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেন। এই কেন্দ্রের নয়টি কক্ষের চারটি কক্ষে অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রণীত ২০১৮ সালের সিলেবাসের প্রশ্নপত্রে প্রায় দেড় শতাধিক নিয়মিত পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেখানে নিয়মিতদের ২০১৯ সালের সিলেবাসে প্রণীত প্রশ্নপত্রে তাদের পরীক্ষা নেওয়ার কথা। এ কারণে শিক্ষকদের প্রশ্নপত্র বিতরণে এমন গড়মিল আর ভুলের মাশুল হিসেবে ফেলের শঙ্কায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন পরীক্ষার্থীরা।'

পরীক্ষার্থী শারমিন আক্তার সিমু, রাজিব মিয়া, শাকিল আহমেদ, রাগিব আলীসহ একাধিক পরীক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, 'আমরা ২০১৯ সালের সিলেবাসে নিয়মিত পরীক্ষার্থী। কিন্তু আমাদেরকে ২০১৮ সালের সিলেবাসের প্রশ্ন দেওয়া হয়। আমরা শিক্ষকদের কাছে এ ব্যাপারে সমাধান চেয়েও কোন প্রতিকার পাইনি। তারা আমাদেরকে পরীক্ষা দিতে বাধ্য করেছেন। আমরা চাই এ বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হোক। তা না হলে আমাদের অধিকাংশ পরীক্ষার্থীরই বাংলা প্রথমপত্রে ফেল করবে।'

এ ব্যাপারে ওই প্রতিষ্ঠানের ভেতরে কাউকে পাওয়া যায়নি। অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলামের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

এদিকে প্রশ্নপত্র বিতরণে এমন ‘ভুল’ নিয়ে রংপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া ইসরাত সুমি সাংবাদিকদের বলেন, 'বিষয়টি আমি বিকেলে জানতে পেরেছি। খোঁজ খবর নিয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

এ সম্পর্কিত আরও খবর