‘আমাদের এখন চাল কেনারও ক্ষমতা নাই’

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-24 19:36:06

চাকরি স্থায়ীকরণ বা এমপিওভুক্ত করণ ও বকেয়া বেতনের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয় অধিভুক্ত সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড এক্সেস এনহ্যান্সমেন্ট (সেকায়েপ) প্রকল্পের শিক্ষকরা।

সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ অতিরিক্ত শ্রেণিশিক্ষক (এসিটি) অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে তারা এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।

এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষকরা বলেন, ২০১৫ সালে বিশ্ব ব্যাংক ও বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যৌথ অর্থায়নে শিক্ষার মান উন্নয়ন ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত প্রণোদনার মাধ্যমে শিক্ষকতা পেশায় আকৃষ্ট করতে তিন বছর মেয়াদী একটি প্রকল্প নেওয়া হয়। যার মাধ্যমে ২৫০টি উপজেলার ২ হাজার ১০০টি মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠানে ৫ হাজার ২০০ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। শর্ত ছিল প্রকল্প শেষে তারা তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে স্থায়ী হবেন। কিন্তু চার বছর পার হয়ে যাওয়ার পরও তাদের চাকরি স্থায়ী হচ্ছে না।

আন্দোলনরত গণিত শিক্ষক আজিজুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সুপারিশ থাকা সত্ত্বেও আমাদের চাকরি কেন স্থায়ী হচ্ছে না, তা আমরা জানতে চাই। এদিকে আমাদের চাকরি স্থায়ী তো হচ্ছেই না তারপও আবার দীর্ঘ ১৩ মাস যাবত আমাদের বেতন নাই। আমরা বিনা বেতনে শিক্ষকতা করে যাচ্ছি, কিন্তু আর কত? আমাদের অনেকের এখন ঘরে চাল কেনারও ক্ষমতা নাই।’

অতিরিক্ত শ্রেণিশিক্ষক (এসিটি) অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র মো. আতিকুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘পাশের হার বৃদ্ধি ছাড়াও কোচিং বাণিজ্য বন্ধ, ঝড়ে পরা ও বাল্যবিবাহ রোধে আমদের এসিটির অবদান প্রশংসনীয়। তাই সংসদে প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী আমাদের এসিটির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। কিন্তু প্রকল্পে নিয়োগকালে আমাদের স্থায়ীকরণের যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তার কোনো বাস্তবায়ন তো নেই বরং আমরা বিনা বেতনে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা চাই বকেয়া বেতনসহ আমাদের চাকরি স্থায়ী করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন।’

উল্লেখ্য, সেকায়েপ ম্যানুয়েলে এসিটি শিক্ষকদের স্থায়ীকরণের কথা স্পষ্ট উল্লেখ আছে এবং এমপিওভুক্ত করণের জন্য তথ্য চেয়ে মাওশির নোটিশ দেওয়া আছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর